ভোলার ৫ উপজেলার ১৪ টি গ্রামের প্রায় ৩ হাজার পরিবার একদিন আগে ঈদ উদযাপন করবে।
আগামীকাল সোমবার (২ মে) সকাল সাড়ে ৮ টায় বোরহানউদ্দিন উপজেলা টবগী গ্রামে খলিফা মজনু মিয়ার নিজ বাড়ির আঙিনায় ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
শরিয়তপুরের নুরিয়া উপজেলা দরবারে আউলিয়ার সুরেশ্বর দরবার পীরের মুরিদ ও ভোলা জেলার দায়িত্বে নিয়োজিত খলিফা মজনু মিয়া বলেন, ভোলা জেলার ৫ উপজেলার ১৪ টি গ্রামের প্রায় ৩ হাজার পরিবার আগামীকাল ঈদুল ফিতর উদযাপন করবে।
তাই সকাল সাড়ে ৮ টায় বোরহানউদ্দিন উপজেলা টবগী গ্রামে আমার নিজ বাড়ির আঙিনায় ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে। আমি নিজেই ওই জামাতে ইমামতি করবো।
একই সঙ্গে গ্রামের চৌকিদার বাড়ির জামে মসজিদে সকাল ৯ টায় এবং পঞ্চায়েত বাড়ির জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৯ টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
এ ছাড়া সকাল ৯ টা থেকে ১০টার মধ্যে জেলার বিভিন্ন জায়গায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে তজুমদ্দিন উপজেলার ছালাম মেম্বার বাড়ি, আব্দুল্লাহ মাঝি বাড়ি, লালমোহন উপজেলার লাঙ্গলখালীর পশ্চিম পাশে পাটোয়ারী বাড়ির জামে মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
মজনু মিয়া আরও বলেন, ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা ও রতনপুর গ্রাম। বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ও মুলাইপত্তন গ্রাম। তজুমদ্দিন উপজেলার শিবপুর, খাসেরহাট, চাঁদপুর ও চাঁচড়া গ্রাম। লালমোহন উপজেলার পৌর শহর, ফরাজগঞ্জ গ্রাম এবং চরফ্যাশন উপজেলার পৌর শহর, দুলারহাট, ঢালচর ও চর পাতিলা গ্রামের প্রায় ৩ হাজার পরিবার প্রতি বছর একদিন আগেই ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা পালন করেন।
সুরেশ্বর পীরের মুরিদ ছাড়াও চট্টগ্রামের সাতকানিয়া এবং ভান্ডারি শরিফ পীরের মুরিদ এসব পরিবারের সদস্যরা শতাধিক বছর ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা পালন করে আসছেন।
সুরেশ্বর পীরের অপর এক মুরিদ বোরহানউদ্দিনের টবগী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার হারুন অর রশিদ বলেন, আমাদের মতে পৃথিবীর যেকোনো স্থানে চাঁদ দেখা গেলেই রোজা এবং ঈদ পালন করা যায়। সে অনুযায়ী আমরা প্রতি বছর একদিন আগে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা পালন করে আসছি।