পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে সাহরির খাবার খাওয়ার পর দুই পরিবারের ১০ জন অসুস্থ হয়েছেন। শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) ভোর রাতে এ ঘটনার পর অসুস্থ সবাইকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হক।
অসুস্থ ব্যক্তিরা হলেন ইন্দুরকানী উপজেলা সদর ইউনিয়নের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার গাজী (৬৫), তার স্ত্রী হালিমা বেগম (৫০), মেয়ে কলেজছাত্রী জাকিয়া নাসরিন পপি (২০), জব্বার গাজীর ভাইপো শাহাদাৎ হোসেন বাবু (৩২), জব্বার গাজীর ভাইপো সাকিল গাজী (৪০), সাকিরের স্ত্রী সুরাইয়া বেগম (৩৫)।
ইউনিয়নের আরেক পরিবারের অবসরপ্রাপ্ত তহসিলদার আনোয়ার হোসেন (৯০), শেখ হেলাল (৫০), নাসরিন নাহার (৪৫), নাফিস মাহমুদ (২০)।
উদ্ধারকারী রাসেল গাজী বলেন, আজ ভোর রাতে বাড়িতে সাহরির খাবার খাওয়ার পর হঠাৎ আমার ও পাশের বাড়ির কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়ে। আমি প্রতিবেশী অটোচালক হৃদয় গাজীকে সঙ্গে নিয়ে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসি। হঠাৎ এমন হওয়ার কোনো কারণ পাইনি। আমি ভোর রাতে সাহরি না খেয়ে সুস্থ ছিলাম বলেই তাদের উদ্ধার করে হাসপাতাল পর্যন্ত নিতে পেরেছিলাম।
এ বিষয়ে ইন্দুরকানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. আব্দুল কাদের বলেন, আমরা দুই পরিবারের ১০ জনকে অসুস্থ অবস্থায় পেয়েছি। তাদের সকালে ইন্দুরকানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের খাবারে নেশাজাত দ্রব্য মেশানো হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
অসুস্থদের মধ্যে আব্দুল জব্বার গাজীর এখনো জ্ঞান ফেরেনি। তাকে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। চারজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান শেষে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
ইন্দুরকানী থানার ওসি বলেন, আমরা স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। অসুস্থদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অসুস্থদের পক্ষ থেকে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।