‘কাঁচা বাদাম’ পোশাক কেনার ধুম বরিশালে

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

ঈদের বাজার জমে উঠেছে বরিশালে। পোশাক কিনতে এরই মধ্যে দোকানে ভিড় করছেন ক্রেতারা। এবার বেশির ভাগ নারী ক্রেতার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে ‘কাঁচা বাদাম’ পোশাক। নগরীর চকবাজারের বিপণন বিতানগুলোতে দেদার চলছে এর বিক্রি।

কাঁচা বাদাম বা বাদামের খোসা দিয়ে তৈরি কোনো পোশাক না এটি। নারীদের পছন্দের শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছে ভিন্ন কারণে। অনেক ক্রেতা ভিন্ন ডিজাইনের পোশাক চাওয়ামাত্রই বিক্রেতারাও সামনে এনে দিচ্ছেন কাঁচা বাদাম থ্রিপিস।

বিক্রেতারা বলছেন, কাঁচা বাদাম গানটি অনেক জনপ্রিয় হওয়ায় এক ইউটিউবার এ গানের সঙ্গে নেচেছিলেন। সেই ইউটিউবার যে ডিজাইনের থ্রিপিস পরেছিলেন ভিডিওতে, সেভাবেই তৈরি করা হয়েছে কাঁচা বাদাম থ্রিপিস। এ জনপ্রিয়তার কারণেই কাঁচা বাদাম পোশাকটিও জায়গা করে নিচ্ছে ক্রেতাদের মনে।

রোববার রাতে নগরীর চকবাজার ও কাঠপট্টি এলাকার বেশ কয়েকটি দোকান ঘুরে কাঁচা বাদাম থ্রিপিস বিক্রির চিত্র দেখা গেছে।

এ সময় জোনাকী মার্কেটের ক্রেতা মানবী বেগম বলেন, ‘ইফতারের পর বেশ কয়েকটি দোকান ঘুরেছি। এখন এই মার্কেটে এসে শুনতে পেলাম কাঁচা বাদাম নামে একটি ড্রেস এসেছে। আমি গোলাপি রঙের একটি কিনেছি মেয়ের জন্য।’

তানিয়া রহমান নামে এক ক্রেতার দেখা পাওয়া যায় চকবাজারের পালকী বস্ত্রালয়ে। তাকেও কিনতে দেখা যায় কাঁচা বাদাম থ্রিপিস। বলেন, ‘প্রতি বছরই ঈদের আগে নানা নামে পোশাক আসে। এবার কাঁচা বাদাম নামে এসেছে। শুনতে হাস্যকর লাগলেও ভালো লাগছে পোশাকটি কিনতে পেরে।

‘কিন্তু কেন এর নাম কাঁচা বাদাম রাখা হয়েছে তা বুঝতে পারছি না। হয়তো মার্কেটে জনপ্রিয় হতে বিক্রেতারা এমন নাম দিয়েছেন।’

চকবাজারের পালকী বস্ত্রালয়ের বিপণন কর্মী সুমন দাস জানান, কোম্পানি থেকেই পোশাকের নাম দেয়া হয়েছে কাঁচা বাদাম। ২৬০০ থেকে ৩৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এ পোশাকগুলো।

লাল, নীল, সবুজ ও গোলাপিসহ ৬টি রঙের আনা হয়েছে কাঁচা বাদাম থ্রিপিস। ক্রেতারাও নাম শুনেই দেখাতে বলছেন এ পোশাক।

স্বদেশী বস্ত্রালয়ের ব্যবস্থাপক গোবিন্দ সাহা বলেন, ‘কাঁচা বাদাম গানটি অনেক জনপ্রিয় হওয়ার পর পোশাক প্রস্তুতকারক কোম্পানি এতে উদ্বুদ্ধ হয়ে ইউটিউবারের পোশাকের ডিজাইনের সঙ্গে মিল রেখে পোশাকটি বাজারে আনে। বাজারে পোশাকটির বেশ চাহিদা রয়েছে। বিক্রিও হচ্ছে অনেক।

‘এ থ্রিপিসের পাশাপাশি এবার অরগাঞ্জা ও গোল্ড ড্রেসেরও চাহিদা রয়েছে ঈদের বাজারে। অরগাঞ্জা বিক্রি হচ্ছে ৪ থেকে ৮ হাজার টাকায় আর গোল্ড ড্রেস বিক্রি হচ্ছে ৬ থেকে ৮ হাজার টাকায়।’

তিনি জানান, এবার শাড়ির চাহিদাও বেশ। কাতান, সিল্ক, টাঙ্গাইল সিল্ক, ঢাকাইয়া জামদানি ও তাঁতের শাড়ি বেশি বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে টাঙ্গাইল সিল্কের শাড়ি ১৫ হাজার টাকা, ঢাকাইয়া জামদানি ৮ থেকে ১৫ হাজার টাকা ও তাঁতের শাড়ি ১২০০ থেকে ২৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতার সমাগম খুব একটা না থাকলেও ১৫ রোজার পর থেকে চাপ বাড়বে।