স্বাস্থ্য ক্যাডারে প্রথম গাইবান্ধার নাফি, দ্বিতীয় রংপুরের শশী

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

৪০তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলে স্বাস্থ্য ক্যাডারে প্রথম হয়েছেন গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার ডা. শাহ মুবদি-উন-নাফি। দ্বিতীয় হয়েছেন রংপুরের পীরগাছা উপজেলার ডা. মালিহা সামিহা শশী।

শাহ মুবদি-উন-নাফি সাদুল্যাপুর উপজেলার ধাপেরহাটের পল্লীচিকিৎসক শাহ মাহফুজুর রহমানের ছেলে। তিনি ৪২তম বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে সহকারী সার্জন হিসেবে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত।

ফলাফল ঘোষণার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন নাফি। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, ৪০তম বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছি। স্বাস্থ্য ক্যাডারে প্রথম স্থান অর্জন করেছি।’

ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করা নাফি রাজধানীর সেন্ট যোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং নটরডেম কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন।

৪০তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলে স্বাস্থ্য ক্যাডারে দ্বিতীয় হয়েছেন রংপুরের পীরগাছা উপজেলার মেয়ে ডা. মালিহা সামিহা শশী।

৪২তম বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে শশী সহকারী সার্জন হিসেবে বর্তমানে পীরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত। তার স্বামী মাহে আলমও ৩৭তম বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারে কর্মরত। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে আছেন।

শশী পীরগাছা উপজেলার কৈকুড়ী ইউনিয়নের চৌধুরানী (কুতুব্বস) গ্রামের বাংলাদেশ রেলওয়ে ডেপুটি ফিন্যান্সিয়াল অ্যাডভাইজার অ্যান্ড চিফ অ্যাকাউন্টস অফিসার সাইফুল ইসলামের মেয়ে। তার মা সাবেক প্রধান শিক্ষক নাসিমা আখতার।

ভাইবোনের মধ্যে বড় শশী। তার ছোটভাই আজমাঈন ফাহিম বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজির ইঞ্জিনিয়ারিং প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থী।

নিজের কৃতিত্বপূর্ণ সাফল্যে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে ডা. শশী বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, ৪০তম বিসিএসে দ্বিতীয় অবস্থান নিয়ে আবারো সহকারী সার্জন হিসেবে আমাকে সুপারিশ করা হয়েছে। আমার এ অর্জনের জন্য আব্বু-আম্মু আর স্বামী মাহে আলমের অবদান স্বীকার না করলেই নয়।’

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করা ডা. শশী ছিলেন মমেক-৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। ২০১৮ সালে এমবিবিএস সম্পন্ন করেন তিনি।

দিনাজপুরের পার্বতীপুরের ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ২০১০ সালে এসএসসি পাস করেন শশী। এরপর ২০১২ সালে রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। তিনি বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্স সার্জনস (বিসিপিএস) থেকে গাইনি অ্যান্ড অবসে পার্ট-১ এবং লন্ডন থেকে এমআরসিওজি পার্ট-১ করেছেন।

বুধবার (৩০ মার্চ) দুপুরে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) ৪০তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করেছে। প্রকাশিত ফলাফলে বিভিন্ন ক্যাডারে দুই হাজার ২১৯টি পদে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। এরমধ্যে স্বাস্থ্য ক্যাডারে ১১২ জনকে নেওয়া হবে।