বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী বলেছেন, বরিশাল বিমানবন্দর হবে সবথেকে আধুনিক ও যুগউপযোগী। আর বাংলাদেশের সবথেকে সুন্দর বিমানবন্দর।এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই।আমরা প্রকল্প নিচ্ছি।বরিশালের রানওয়ে অনেক বড় হবে এবং টার্মিনাল হবে সবথেকে অত্যাধুনিক।
আজ শনিবার (১৯ মার্চ) সকালে বরিশাল বিমানবন্দর পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন,বাংলাদেশের সবগুলো বিমানবন্দরেই মানণীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এবং নির্দেশনায় কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। বরিশাল বিমানবন্দরে বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনেক আন্তরিক। ওনার নির্দেশনায় বরিশাল বিমানবন্দরের রানওয়ে ওভার-লে করণ কাজে খুব শীঘ্রই হাত দিচ্ছি। যাতে বিমানের স্মুথ ল্যান্ডিং হয়।সাথে সাথে ৭৭৭ বিমান অর্থাৎ বড় বিমান যাতে নামতে পারে সেজন্য রানওয়েকে আরো সাড়ে ৭ শত ফিট বাড়ানোর প্রকল্প আমরা হাতে নিবো। পাশাপাশি এখানে অত্যাধুনিক একটি নুতুন টার্মিনাল করার কাজ খুব দ্রুত হাতে নিবো। সবমিলিয়ে বরিশাল বিমানবন্দর নিয়ে আমাদের একটি মেজর প্রজেক্টর রয়েছে।
দেশের এভিয়েশন সেক্টর নিয়ে বঙ্গবন্ধুর অনেক সপ্ন ছিলো। আজ তার কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পরে সারাদেশের প্রতিটি বিমানবন্দরে আধুনিকতার ছোয়া লেগেছে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সর্বাধুনিক করা হচ্ছে। চাঙ্গি, হিদ্রো, জেএফকে বিমানবন্দর দেখে আমরা প্লান করেছি। তাই যুগের থেকেও আধুনিক একটি বিমানবন্দর আমরা হয়তো সেপ্টেম্বর ২০২৩ এ উদ্বোধন করতে পারবো।
তিনি বলেন,এর বাহিরে চট্টগ্রাম, সিলেট বিমানবন্দকের আন্তর্জাতিক করা হয়েছে।আন্তর্জাতিক এবং আভ্যন্তরীন সবকিছুতে উন্নয়নের ছোয়া লেগেছে। আর বরিশাল যেহেতু বড় অবস্থানে রয়েছে, তাই এই বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রুপ দেয়ার জন্য সমস্ত পরিকল্পনাই হাতে নেয়া হবে। এ বিমানবন্দরসহ দেশের প্রতিটি বিমানবন্দরে যাতে ৭৭৭ ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারে সেই ব্যবস্থা নেয়া হবে পর্যায়ক্রমে।
রাত দিন ২৪ ঘন্টা বিমান নামতে-উঠতে পারে সেই লক্ষেও সবগুলো বিমানবন্দরে পর্যায়ক্রমে কাজ করা হচ্ছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাংলাদেশের প্রতিটি বিমানবন্দরে যাতে ২৪ ঘন্টা বিমান ওঠানামা করতে পারে সেধরণের ব্যবস্থা নেয়া। আমরা অনেকগুলোতে এ ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি। তবে কোভিডের কারনে বিদেশ থেকে স্পেশালাইজড লোক আসতে না পারায় আমরা অনেকগুলো কাজ সমাপ্ত করেও চালাতে পারিনি। বরিশালেও যাতে ২৪ ঘন্টা ফ্লাইট ওঠানামা করতে পারে সে কাজ একই সাথে করবো।
তিনি বলেন,শেষ ভালো যার সব ভালো তার।বরিশাল বিমানবন্দরের উন্নয়ন যেহেতু শেষে হচ্ছে, তাই অন্যান্য বিমানবন্দরের থেকে আরো আধুনিক এবং যুগের থেকেও আধুনিক বিমানবন্দর বরিশালে হবে।
এসময় পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও বরিশাল সদর আসনের সাংসদ কর্নেল অব. জাহিদ ফারুক বলেন,বরিশালে ফ্লাইট চালু হওয়ার পরও যাত্রী না থাকায় তা বন্ধ হয়ে গিয়েছিলিা।মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে অর্থনৈতিকভাবে আমরা চাঙ্গা হয়েছি।দেশে অর্থনৈতিক উন্নয়ন হচ্ছে। আজ পায়রা বন্দরসহ দক্ষিনাঞ্চলে অনেক উন্নয়ন হয়েছে,এখন বিভিন্ন ধরনের লোকজনের আসা যাওয়া আছে। এখন যে সকল এয়ারলাইন্স ফ্লাইট পরিচালনা করছে তারা ফুল লোডেড হয়ে যাওয়া-আসা করছে।
তিনি বলেন, দক্ষিনাঞ্চলের প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেক নজর রয়েছে। আমরা প্রতিমন্ত্রীকে নিয়ে বিমানবন্দরটি পরিদর্শনে এসেছি, বরিশাল এয়ারপোর্ট দেশে ডমেস্টিক যতগুলো এয়ারপোর্ট রয়েছে তার মধ্যে সবথেকে ভালো হবে।এই নিশ্চয়তা এখন দিতে পারি।