পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় প্রেমে বাধা দেওয়ায় এক গৃহবধূকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী মামুন খানের (৪০) বিরুদ্ধে। সোমবার সন্ধ্যায় বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই নারী মারা যান। মঙ্গলবার সকালে হাসপাতাল থেকে নিহত গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মামুন খানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নিহত ওই গৃহবধূর নাম আয়শা বেগম(৩২)। অভিযুক্ত মামুন খান পাশ্ববর্তী বামনা উপজেলার সোনাউটা গ্রামের আ. মজিদেরে ছেলে। তিনি পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রী। তিনি মঠবাড়িয়া পৌর শহরের ৬নং ওয়ার্ড রূপনগর আবাসিক এলাকার বাসিন্দা।
থানা ও নিহত গৃহবধূর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ বছর ধরে আয়শা-মামুন দম্পতি তাদের তিন সন্তান নিয়ে মঠবাড়িয়া শহরের রূপনগর মহল্লায় জনৈক রফিকুলের বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছিলেন।
দুই বছর ধরে মামুন একই মহল্লায় বসবাসরত তানিয়া বেগম নামে এক গৃহবধূর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এই প্রেমের জের ধরে মামুন ও আয়শা দম্পতির মাঝে দীর্ঘদিন ধরে কলহ চলে আসছিল। এর জের ধরে সোমবার ভোররাতে এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বিবাদ হয়।
এক পর্যায় মামুন খান বাঁশের লাঠি ও হাতুড়ি দিয়ে স্ত্রীর মাথায় আঘাত করেন। এ সময় আয়শার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে তাকে উদ্ধার করে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে গুরুতর অবস্থায় তাকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধিন অবস্থায় সোমবার সন্ধ্যায় আয়শার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর মা মমতাজ বেগম বাদী হয়ে মেয়ের জামাই মামুন খান ও তার কথিত প্রেমিকা তানিয়া আক্তারকে এজাহার নামীয় ও অজ্ঞাত নামা ২/৩ জনকে আসামি করে মঠবাড়িয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ মঙ্গলবার সকালে অভিযুক্ত মামুনকে গ্রেপ্তার করে দুপুরে আদালতে সোপর্দ করে।
মঠবাড়িয়া থানার ওসি মুহম্মদ নূরুল ইসলাম বাদল ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, নিহত গৃহবধূর লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হলে বিজ্ঞ আদালতে মামুন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।