জমিজমা বিরোধের জের ধরে মুলাদী পৌরসভা কাউন্সিলর সোলায়মান খান ও তার সহোদরদের হামলায় প্রতিবন্ধীসহ ১১ জন আহত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এমনকি বসঘরও ভাংচুর করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে নয়টায় মুলাদী মহিলা কলেজ এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় হামলায় আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়।
হামলায় আহতরা হলেন- নাসিমা বেগম ও তার প্রতিবন্ধী স্বামী সাহে আলম সরদার,মেয়ে কুলসুম,ছেলে ইসমাইল, বাকপ্রতিবন্ধী ছেলে ইমাম,ননদ ফরিদা,বোন হাজেরা বেগম,শ্বাশুড়ী নুরজাহান বেগম,সামছুল হক ও কাশেম রাঢ়ি। এদের মধ্যে নাসিমা বেগম শেবামেক হাসপাতালে ও তার মেয়ে কুলসুম মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
বাকি আহতরা চিকিৎসা গ্রহন না করে কাউন্সিলর ও তার সহোদরদের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, বুধবার সকাল সাড়ে নয়টায় মুলাদী মহিলা কলেজ এলাকায় নিজের বসতঘর সংস্কার করতে যায় নাসিমা বেগম।
এসময় ওয়ার্ড কাউন্সিলর সোলায়মান খান ও তার সহোদর মুলাদী চরকালে খান কলেজের প্রিন্সিপাল কবির খান,কালাম খান,আলামিন খান,মাহিমা আক্তার,লামিয়া বেগমসহ ১০/১২ জন য্বুক ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা দিয়ে এ হামলা চালায়। এমনকি বসঘর ভাংচুর করা হয়।
এদিকে শেবামেক হাসপাতালে আহত অবস্থায় নাসিমা বেগম সংবাদকর্মীদের বলেন,‘সকালবেলা আমি নিজের বসতঘর সংস্কার করতে যাই। এসময় ওয়ার্ড কাউন্সিলর সোলায়মান খান ও তার সহোদর মুলাদী চরকালে খান কলেজের প্রিন্সিপাল কবির খান কালাম খান,আলামিন খান,মাহিমা আক্তার,লামিয়া বেগমসহ ১০/১২ জন য্বুক ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা দিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। হমলার একপর্যায়ে আমার চুলের মুটি ধরে রাস্তায় টেনে-হিচড়ে নিয়ে যায়। আমি ওদের মারধর করতে মানা করলেও,ওরা শুনেনি।
এমনকি বসঘর ভাংচুর করা হয়। এছাড়াও হামলায় আহতদের মধ্যে অনেকে চিকিৎসা গ্রহন না করে কাউন্সিলর ও তার সহোদরদের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এখন আমি ও আমার পরিবার নিপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি ’।
তবে হামলার বিষয়ে মুলাদী পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সোলায়মান খান ও তার সহোদরদের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এদিকে মুলাদী পৌরসভার মেয়র শফিকুজ্জামান রুবেল বলেন,‘আমি মারধরের বিষয়টি শুনেছি। তবে বিস্তারিত কিছু জানি না। বিষয়টির খোজ নিয়ে দেখবো’।
অন্যদিকে মুলাদী থানার ওসি জানান,‘ প্রতিবন্ধী পরিবারের ওপর হামলার ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনস্থলে পুলিশও পাঠিয়েছি। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে’। তবে তিন দিন হলে মামলা নিচ্ছে না থানা পুলিশ।