ইউক্রেনে হামলাকে কেন্দ্র করে রাশিয়ার ওপর একের পর এক কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে পশ্চিমা বিশ্ব। এদিকে রাশিয়াও পাল্টা হুমকি ও ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। বিশ্বজুড়ে দেখা দিয়েছে সংকট। অনেকে বিশ্লেষক মনে করেন বিশ্ব নেতাদের দায়িত্বহীনতায় হতে পারে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ। এমন পরিস্থিতিতে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে বিশ্বের কোন দেশ সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী বা কারা সামরিকখাতে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করে।
জানা গেছে, গত তিন দশকে উল্লেখযোগ্যভাবে সামরিক ব্যয় বাড়িয়েছে রাশিয়া। ২০২০ সালে মস্কো সামরিকখাতে ব্যয় করে প্রায় ৬২ বিলিয়ন ডলার। যা দেশটির জিডিপির চার শতাংশ। দেশটিতে অস্ত্র ব্যবসায় এক হাজার ৩০০ কোম্পানি অন্তর্ভুক্ত। যাতে প্রায় ২০ লাখ মানুষ কর্মরত রয়েছেন। রাশিয়ার সবচেয়ে বড় অস্ত্র কোম্পানি হলো রোসটেক। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এটি ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠা করেন।
তাছাড়া, ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্র সামরিকখাতে ব্যয় করে প্রায় ৭৭৮ বিলিয়ন ডলার। যা বিশ্বের অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় সবচেয়ে বেশি। বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সামরিক ব্যয় চীনের। একই সময়ে দেশটি সামরিকখাতে ব্যয় করে ২৫২ বিলিয়ন ডলার। ব্যয়ের দিক থেকে এর পরেই অবস্থান করছে ভারত ও রাশিয়া। সামরিকখাতে এসময় ভারত ব্যয় করে ৭৩ বিলিয়ন ডলার।
রাশিয়া যুদ্ধবিমান, ইঞ্জিন, ক্ষেপণাস্ত্র, সাঁজোয়া যান ও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র বিক্রি করে। রাশিয়া তাদের অস্ত্রের প্রায় অর্ধেক অর্থাৎ ৪৮ দশমিক ছয় শতাংশ বিক্রি করে যুদ্ধবিমান। ২০১৬ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে রাশিয়া ১৩টি দেশে প্রায় ৪০০ যুদ্ধবিমান বিক্রি করে। এগুলোর মধ্য সুখোই ও মিগ মডেলের বিমানও রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ভারতই কিনেছে অর্ধেক। তাছাড়া রাশিয়া থেকে একটি পারমাণবিক সাবমেরিন লিজও নিয়েছে ভারত।
অন্যদিকে সোভিয়েত সময়ের অনেক অস্ত্রের উন্নয়ন করেছে রাশিয়া। ক্রমেই বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রের উন্নয়ন ও নতুন সংযোজন করছেন পুতিন। বিশেষ করে তাদের আকাশপ্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০। যা চীন, ভারত, সিরিয়া ও তুরস্কে বিক্রি করা হয়েছে। অন্যদিকে আরও কয়েকটি দেশ দীর্ঘ-পরিসরের মোবাইল সিস্টেম কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এর প্রত্যেক ইউনিটের মূল্য ৪০ কোটি ডলার।