রিশাল নগরীর ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কুদঘাটার নওগাঁ ইন্দ্রকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুই শিশু শিক্ষার্থীকে ভেতরে রেখে গেটে তালা দিয়ে চলে যাওয়ার ঘটনায় শ্রেণি শিক্ষিকা মাকসুদা বেগমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
সেই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে। দায়িত্বে অবহেলার কারণে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক এ ব্যবস্থা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষিকা তানিয়া সুলতানার বিরুদ্ধেও বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল লতিফ মজুমদার রোববার (৬ মার্চ) বিকেলে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (২ মার্চ) স্কুল ছুটির কিছু আগে চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মারজান সিকদার ও মুনমুনকে অংক করতে বলেন শিক্ষিকা মাকসুদা বেগম।
অংক শেষ না হওয়া পর্যন্ত বাড়ি যাওয়া যাবে না বলেও জানিয়ে দেন। এরপর শিক্ষিকা মাকসুদা বেগম নিজেই বাড়ি চলে যান। শিশু দুটি নিজেদের মতো করে শ্রেণিকক্ষে অংক করতে থাকে।
একপর্যায়ে প্রধান শিক্ষিকাসহ অন্য শিক্ষক ও কর্মচারীরা চলে গেলে দফতরি গেটে তালা মেরে চলে যান। ভেতরে আটকা পড়ে মারজান ও মুনমুন। গেটে তালা দেখে তারা কান্না করতে থাকে।
কান্নার শব্দ পেয়ে স্থানীয় একটি মেয়ে মারজানের কাছ থেকে তার বাবা জামাল সিকদারের মোবাইল নম্বর নিয়ে বিষয়টি জানায়।
পরে মারজানের মা বিদ্যালয়ে ছুটে যান। এরই মধ্যে স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। খবর দেওয়া হয় দফতরিকে। প্রায় এক ঘণ্টা আটকা থাকার পর দফতরি এসে গেট খুলে দেন।
এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল লতিফ মজুমদার বলেন, ঘটনাটি জানতে পেরে তিনি বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন।
ঘটনাটি তদন্তে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা দিলদার নাহারকে দায়িত্ব দেন। তদন্ত প্রতিবেদনে শ্রেণি শিক্ষিকা মাকসুদা বেগমের বিরুদ্ধে দায়িত্ব ও কর্তব্যে অবহেলার প্রমাণ মিলেছে। এ কারণে তাকে সাময়িক বরখাস্ত ও তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে।
তদারকির দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন না করায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা তানিয়া সুলতানার বিরুদ্ধেও বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।