ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় স্বজন হারানোর বেদনায় মনির হোসেনের করা মামলাটি নৌ আদালতে পাঠিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ঝালকাঠির সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এএইচএম ইমরানুর রহমান এ আদেশ দেন।
মামলার বিষয়ে আসামি পক্ষের আইনজীবী জিকে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ২৩ ডিসেম্বর রাতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী যাত্রীবাহী লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় যাত্রীদের স্বজন মনির হোসেন মামলাটি করেন। ঢাকার ডেমরা এলাকার মনির হোসেনের দায়ের করা মামলায় অভিযান-১০ লঞ্চের মালিক হামজালাল শেখ, লঞ্চে থাকা দুই মাস্টার রিয়াজ সিকদার ও মো. খলিল, দুই ড্রাইভার মো. মাসুম ও কালাম, সুপারভাইজার মো. আনোয়ার, সুকানী আহসান এবং কেরানি কামরুলকে আসামি করা হয়
মামলা বাদি মনির হোসেন বলেন, লঞ্চে থাকা তার ৩২ বছর বসয়ী বোন তাসলিমা আক্তার, দুই ভাগনি ১৫ বছরের সুমাইয়া আক্তার মীম ও ১০ বছরের সুমনা আক্তার তানিশা এবং ৭ বছর বয়সী ভাতিজা জোনায়েদ ইসলাম বায়জিদ এখনো নিখোঁজ।’
এদিকে ঢাকার নৌ-আদালতে একটি মামলা চলমান রয়েছে। সে মামলায় লঞ্চের মালিক মো. হামজালাল শেখ কারাগারে রয়েছেন। একই ইস্যুতে বরগুনায় এক আইনজীবীর মামলায় মালিক হামজালালকে জামিন দিয়ে মামলাটি খারিজ করে দেন।
গত ২৩ ডিসেম্বর দিনগত রাতে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী লঞ্চ এমভি অভিযান-১০ এ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় চল্লিশেরও বেশি প্রাণহানি ঘটে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন অসংখ্য যাত্রী।