জয়ের স্বাদ কেমন তা হয়তো আর মনেও নেই সিলেট সানরাইজার্সের। হারতে হারতে এমন অবস্থা দাঁড়িয়েছে যে, জয়ের সুযোগ এলেও সেটি কাজে লাগাতে পারছে না তারা। ঘরের মাঠে পরপর তিন ম্যাচ হেরে ঢাকায় ফিরছে দলটি। সিলেটকে আরও একটি পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ দিয়ে প্লে-অফে পৌঁছে গেছে কুমিল্লা।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ১৬৯ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করিয়েছিল স্বাগতিক দলটি। পরে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৮তম ওভার পর্যন্ত সমানে সমান লড়েছে তারা। তবে শেষ পর্যন্ত ১৯.৫ ওভারে ম্যাচটি জিতে নিয়েছে কুমিল্লা। আর এই ৪ উইকেটের জয়ে ফরচুন বরিশালের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে সেরা চারে উঠে গেলো তারা।
১৭০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা তেমন ভালো ছিল না সিলেটের। দলীয় ২২ রানেই সাজঘরে ফিরে যান লিটন দাস (৭) ও ফাফ ডু প্লেসি (২)। এরপর তৃতীয় উইকেটে ৮২ রান যোগ করেন মইন আলি ও তরুণ ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। মইন আউট হন ৩৫ বলে ৪৬ রানের ইনিংস খেলে।
এরপর অধিনায়ক ইমরুল কায়েসের ব্যাট থেকে আসে ৮ বলে ১৬ রান। অন্যদিকে আসরে নিজেদের দ্বিতীয় ফিফটিতে মাহমুদুল জয় করেন ৬৫ রান। তার ইনিংসে ছিল ৭ চার ও ২টি ছয়ের মার।
কিন্তু জয়ের জন্য ২২ রান বাকি থাকতেই সাজঘরে ফিরে যান ইমরুল-জয়রা। এরপর বাকি কাজ সারেন সুনিল নারিন। তিনি ১২ বলে ২৪ রান করে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান।
এর আগে ম্যাচটিতে টস জিতে সিলেটকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান কুমিল্লার অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। প্রতিপক্ষের আমন্ত্রণে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই ১০৫ রান যোগ করেন এনামুল ও ইনগ্রাম। দুই প্রান্ত থেকেই সমান তালে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে মাত্র ১২.২ ওভারে আসে এই রান।
ইনিংসের ১৩তম ওভারে মোস্তাফিজুর রহমানের বলে ফাফ ডু প্লেসির হাতে ধরা পড়েন এনামুল। তার ব্যাট থেকে আসে ৪ চার ও ৩ ছয়ের মারে ৩৩ বলে ৪৬ রান। এরপর খানিক ধাক্কা লাগে সিলেটের ইনিংসে। তিন নম্বরে নামা লেন্ডল সিমন্স ১৩ বলে ১৬ এবং অধিনায়ক রবি বোপারা আউট হন মাত্র ১ রান করে।
অপরপ্রান্ত থেকে সঙ্গ না পেলেও মারমুখী ব্যাটিং করতে থাকেন ইনগ্রাম। কিন্তু গত রাতের মতো আজও অল্পের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন তিনি। ইনিংসের শেষ ওভারের প্রথম বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ব্যক্তিগত ৮৯ রানে পৌঁছে যান এ বাঁহাতি ওপেনার। পরের বলেও ছক্কা মারার চেষ্টায় ডিপ স্কয়ার লেগে ধরা পড়েন তিনি।
কুমিল্লার পক্ষে ৪ ওভারে মাত্র ২৩ রান খরচায় ৩টি উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজ। এছাড়া তানভির ইসলাম ও সুনিল নারিনের শিকার ১টি করে উইকেট।