বরগুনায় স্ত্রীকে নির্যাতন, কারাগারে পুলিশ সদস্য

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে নির্যাতন করে গর্ভের দুই মাসের সন্তানকে নষ্ট করার অভিযোগে পুলিশ সদস্য মো. তাজুল ইসলাম রুবেলকে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল।

মো. তাজুল ইসলাম রুবেল দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর মঙ্গলবার সকালে ওই ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। বিচারক মো. হাফিজুর রহমান তার আবেদন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

রুবেল পিরোজপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে কর্মরত।

জানা যায়, মো. তাজুল ইসলাম রুবেল বরগুনা সদর উপজেলার আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের লেমুয়া গ্রামের মোস্তফা গাজীর ছেলে। ২০২১ সালের ৫ আগস্ট ছুটিতে বাড়ি এসে চাকরির প্রমোশনের জন্য স্ত্রী সুমি আকতারের কাছে ৫ লাখ টাকা দাবি করে। স্ত্রী যৌতুক দিতে অস্বীকার করলে রুবেল উত্তেজিত হয়ে তার গর্ভবতী স্ত্রীর তলপেটে লাথি মারেন।

এতে স্ত্রী গুরুতর অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গর্ভের দুই মাসের সন্তান নষ্ট হয়ে যায়। রুবেলের শাশুড়ি হেলেনা বেগম বরগুনা থানায় ১০ আগস্ট মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। পরে ১ সেপ্টেম্বর ট্রাইব্যুনালে মামলা করলে তদন্ত শেষে ৩০ সেপ্টেম্বর ওই ট্রাইব্যুনাল তাজুল ইসলাম রুবেলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।

রুবেলের স্ত্রী সুমি আক্তার পিরোজপুর পুলিশ সুপার বরাবর ৭ ফেব্রুয়ারি মামলার বর্ণনা দিয়ে রুবেলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন।

বাদী হেলেনা বেগম বলেন, আমি মামলা করার পর আমার জামাতা রুবেল আমাকে ও আমার মেয়েকে বিভিন্ন প্রকার হয়রানি করেছে। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে বরিশাল ডিআইজি অফিসে নেয়। সেখানে আমরা রুবেলের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়ার পরেও পুলিশ রুবেলকে বরখাস্ত করেনি। আমরা রুবেলের বিচার চাই।

এদিকে রুবেল কোর্ট বারান্দায় পুলিশের সামনেই উচ্চস্বরে চিৎকার দিয়ে বাদীর আইনজীবীকে গালমন্দ করে বলে- জামিনে মুক্তি পেয়ে পিরোজপুর থানার মামলায় জড়িত করে দেব। সুমিকে তালাক দেব। পরে কোর্ট পুলিশ রুবেলকে শান্ত করে।

পিরোজপুরের পুলিশ সুপার মো. সাইদুর রহমান মোবাইল ফোনে বলেন, তাজুল ইসলাম রুবেল জেলহাজতে যাওয়ার অফিসিয়াল তথ্য পেলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব।