অবশেষে জানা গেলো মার্জিয়া হত্যার নেপথ্যের কারণ। মাসুদ নামে এক ব্যক্তিকে স্বর্ণালঙ্কার বন্ধক রেখে ২০ হাজার টাকা এনে দিতে বলেন মার্জিয়া। মাসুদ স্বর্ণালঙ্কার বন্ধক না রেখে বিক্রি করে টাকা এনে দেন। পরে স্বর্ণালঙ্কার ফেরত চাওয়ায় হত্যা করা হয় তাকে।
শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত মাসুদ ও তার স্ত্রী রেখাকে ইতোমধ্যেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গোলাম আজাদ খান জানান, সিংগাইর উপজেলার চারিগ্রাম গ্রামের মোশারফ হোসেনের মেয়ে মার্জিয়া আক্তার (৩০) ডিভোর্সের পর ঢাকায় বসবাস করতেন। মিরপুরে মাসুদের ভাড়া করা বাসায় সাবলেট থেকে তিনি ডেন্টাল হাসপাতালে কাজ শিখছিলেন। মার্জিয়া তার স্বর্ণালঙ্কার মাসুদকে দেন বন্ধক রেখে টাকা এনে দেওয়ার জন্য। মাসুদ সেগুলো বিক্রি করে দেয়। এ তথ্য গোপন রাখে সে। গত ডিসেম্বরে মার্জিনা ২০ হাজার টাকা মাসুদকে ফেরত দিয়ে স্বর্ণালঙ্কার দাবি করে। এ নিয়ে মার্জিয়ার সঙ্গে মাসুদের কথা কাটাকাটি হয়। এরপর গত ২৪ ডিসেম্বর সকালে মাসুদ মার্জিয়াকে গলায় গামছা পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর স্ত্রী রেখার সহায়তায় লাশ জবাই করে কাগজের কার্টনে প্যাকেট করে খালের পানিতে ফেলে দেয়।
গত ১৪ জানুয়ারি পুলিশ ওয়াইজনগর থেকে কার্টনটি উদ্ধার করে। এ ঘটনায় সিংগাইর থানায় ক্লু-লেস হত্যা মামলা দায়ের হয়।
গোলাম আজাদ খান আরো জানান, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে হত্যা রহস্য উদঘাটনে মাঠে নামে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিংগাইর থানার উপপুলিশ পরিদর্শক আব্দুল হালিম তদন্ত করে নারায়ণগঞ্জ থেকে মাসুদ ও রেখাকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার কথা স্বীকার করেছে বলে এ সময় জানানো হয়।