এটুআই’র সহযোগিতায় দেশব্যাপী এসএমই ই-ডাটাবেজ তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এসএমই ফাউন্ডেশন। ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতের উন্নয়নে এসএমই ই-ডাটাবেজ তৈরি করা হচ্ছে। এই ডাটাবেজে নিবন্ধিত হলে সহজে সেবা পাবেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা।
ডাটাবেজ তৈরি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) প্রাথমিকভাবে ঢাকার শ্যামপুর, বগুড়ার আদমদিঘি, পিরোজপুরের নেছারাবাদ এবং কিশোরগঞ্জের ভৈরব-দেশের চারটি উপজেলা/থানায় পাইলট কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
তিনি বলেন, এসএমই ই-ডাটাবেজ কার্যক্রম অত্যন্ত সময়োপযোগী উদ্যোগ। দেশের সব এসএমই উদ্যোক্তার তথ্য একটি প্ল্যাটফর্মে পাওয়া গেলে এই খাতের উন্নয়নে সরকারের নীতি নির্ধারণ সহজ হবে। এ ধরনের কর্মসূচি অর্থনীতির প্রাণ এমএসএমই খাতের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এজন্য এসএমই ফাউন্ডেশন ও এটুআই সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য বলে আমি মনে করি।
এ সময় মন্ত্রী ভৈরবের একটি ইউনিয়ন তথ্য কেন্দ্রের মাধ্যমে একজন উদ্যোক্তার যাবতীয় তথ্য আপলোড করার পর সেটি অনুমোদন করার মাধ্যমে পাইলট কর্মসূচির উদ্ধোধন ঘোষণা করেন।
এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। স্বাগত বক্তব্য দেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমান এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন এটুআই’র প্রকল্প পরিচালক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর।
এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমান বলেন, ‘এসএমই নীতিমালা ২০১৯’-এ ২০২৪ সালের মধ্যে জিডিপিতে এসএমই খাতের অবদান বর্তমান ২৫% থেকে ৩২% এ উন্নীত করার লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। এই খাতের উন্নয়নে এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এটুআইয়ের সহযোগিতায় এসএমই ই-ডাটাবেজ সরকারের নীতি নির্ধারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, www.smef.nise.gov.bd এই ওয়েব লিংকে লগইন করে একজন উদ্যোক্তা নিজে অন্য কারো সহায়তায় এসএমই ই-ডাটাবেজের জন্য নিজেদের তথ্য আপলোড করতে পারবেন।
২০১৩ সালে পরিসংখ্যান ব্যুরো পরিচালিত সবশেষ অর্থনৈতিক সমীক্ষা অনুযায়ী দেশের মোট ৭৮ লাখের বেশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯৯ ভাগের বেশি কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি (সিএমএসএমই) খাতের।