এবারের বিপিএল দেশীয় ক্রিকেটারদের প্রমাণের বড় মঞ্চ; এবারের আসর থেকে অন্তত দু-তিন জন ক্রিকেটার জাতীয় দলে জায়গা করে নিতে পারেন বলে ধারণা সাকিব আল হাসানের। একই সাথে ভারসাম্যপূর্ণ দল নিয়ে বরিশালকে শিরোপা জেতাতে আশাবাদী তিনি। কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন বলেছেন, আসরে বাকি দলগুলোকে চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুত বরিশাল।
৮ম আসরে বেশ ঘটা করে নেমেছে বিপিএলের পুরনো দল ফরচুন বরিশাল। জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে গতকাল (১৮ জানুয়ারি) জার্সি উন্মোচন করে ফরচুন বরিশাল। সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে গেইল-ব্রাভো-মুজিব উর রেহমানদের সাথে আছেন সোহান-শান্তরা। বরিশালকে শিরোপা জেতাতে মুখিয়ে আছেন এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বলেন, আমাদের দলটা বেশ ভারসাম্যপূর্ণ। পুরোটা পথ যাওয়ার মতো ভারসাম্য যেন থাকে দলের, তেমনভাবেই ড্রাফটের সময় থেকে আমি আর সুজন ভাই কাজ করেছি। যে খেলোয়াড়দের আমরা পেয়েছি, তাদের জন্য আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। আর ডিআরএস সিস্টেমটা থাকছে না। এই প্রযুক্তি কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বেশ নতুন। বিপিএলে ডিআরএস থাকলে অবশ্যই ভালো হতো। তবে বিসিবি অবশ্যই সর্বোচ্চ চেষ্টাই করেছে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গেল আসরে ভরাডুবির ফলে আসন্ন অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে নতুনদের সুযোগ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সাকিব। তাই বিপিএলকে তরুণরা সিরিয়াসলি নেবে, এমনটাই প্রত্যাশা তার। সাকিব বলেন, দেশি ক্রিকেটারদের জন্য দারুণ একটা সুযোগ ও মঞ্চ এই বিপিএল। নিজেদের পারফরমেন্স প্রদর্শন করে জাতীয় দলে আসার সুযোগও তৈরি করে দেবে এই আসর। আমি আশা করবো, এই টুর্নামেন্ট থেকে ২-৩ জন ক্রিকেটার পাওয়া যাবে যারা অন্তত টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে জাতীয় দলকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারবে।
সাকিব আল হাসানের সাথে দেশি-বিদেশি ক্রিকেটারদের অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের মিশ্রণে দল নিয়ে আশাবাদী কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনও। অধিনায়কের সাথে ব্রাভো-জিয়াদের অলরাউন্ড পারফরম্যান্স বাড়তি শক্তি দলটির, এমনটাই জানালেন তিনি। সুজন বলেন, আমাদের দলে ম্যাচ জয়ী কয়েকজন দারুণ ক্রিকেটার আছে। জিয়া-ব্রাভোদের মতো পারফর্মার অবশ্যই দলের জন্য প্লাস পয়েন্ট। তারা দু’জনই অলরাউন্ডার, এবং দারুণ ফিনিশার। আমাদের দল চ্যাম্পিয়ন হবার ক্ষমতা রাখে। বাকিটা প্রমাণ করতে হবে মাঠে।