প্রধানমন্ত্রীর সপ্ন বাস্তবায়নে রাত-দিন কাজ করে যাচ্ছি-পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম-এমপি বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সবসময় বলেন দুখী মানুষের পাশে দাড়াতে হবে।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পিতা আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সারাটাজীবন দুঃখী মানুষের কথা চিন্তা করেছেন।

তিনি জীবনের ১৪ টি বছর জেলে কাটিয়েছেন। জেল খেটেছেন এই বাংলাদেশে আমাদের মতো মানুষের যাতে অধিকার আদায় করা যায়।আমরা যাতে করে বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারি।আমাদের যাতে করে জাতীয় স্বত্ত্বা থাকে।যাতে করে পাকিস্তান দ্বারা নির্যাতিত না হই।

এসব লক্ষ্যেই আমাদের জাতির পিতা সারাটা জীবন কষ্ট করেছেন।তিনি কষ্ট করে বাংলাদেশ নামে একটা স্বাধীন রাষ্ট্র আমাদের উপহার দিয়েছেন এবং তিনি যে সপ্ন দেখেছেন সোনার বাংলা গড়ার, সেটি বাস্তবায়ন করার ভিত তিনি রচনা করেছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবসত ৭৫ এর ১৫ আগষ্ট রাতে তিনি এবং তার পরিবার শাহাদাত বরণ করাতে সপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারেননি।

কিন্তু তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সেই সপ্ন বাস্তবায়নে রাত-দিন কাজ করে যাচ্ছেন।বাংলাদেশ আগের মতো গরীব দেশ নেই, এদেশ এখন বিশ্বে একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।

এখন আমরা পৃথিবীর বুকে মাথা উচু করে দাড়াতে পারি, অতীতে দশবছর আগেও যেটা আমরা পারতাম না।করোনাকালীন সময়ে গোটা পৃথিবীর অর্থনীতির মুখ থুবরে পরেছে কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে আমরা আমাদের অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছি এবং কিন্তু এখন পৃথিবীর মুষ্টিমেয় কয়েকটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ সাবলম্বী দেশ।

ইংলান্ডের একটি সমীক্ষায় বলা হয়েছে ২০৩৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ২৫ টি অর্থনৈতিক দেশের মধ্যে একটি হবে। এরমানে হলো আমরা বিশ্বের এতগুলো দেশের মধ্যে কোথায় চলে গেছি, আর এ সবকিছুই সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোআ করবেন, তিনি যেন সুস্থ থাকেন।

শনিবার (৮ ডিসেম্বর) বরিশাল সদর উপজেলার তালতলী বাজার আরএইচডি-লামছরি হাট সড়ক পুনর্বাসন কাজের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বরেন।

এসময় প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশ নদী মাতৃক দেশ, যেদিকে তাকাবেন সেদিকে নদী ভাঙ্গন। বর্ষার সময়েও নদী ভাঙ্গে, শুকনোর সময়েও ভাঙ্গে। এই নদী ভাঙ্গন রোধ করতে আমরা হিমশিম খেয়ে যাই।আমাদের প্রকৌশলীরা রাত-দিন কাজ করে।অনেকে অনেক কথা বলে।

যেমন বর্ষা কালেই শুধু পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীরা কাজ করে, শুকনো মৌসুমে করে না।এটা কিন্তু তারা ভূল বলে। তারা শুধু সরকার বা সরকারের কোন মন্ত্রনালয়ের ক্রিটিসাইজ করে, আসল জিনিসটা বলে না।বর্ষার সময় কোন নদীতে ভাঙ্গন হলে সেসময় সেখানে কাজ করাটা প্রয়োজন, নাহলে তো গ্রাম থাকবে না।সুতরাং বর্ষার সময় বেশি ভাঙ্গলে কাজও সেসময় তো করতে হয়।

তিনি বলেন,এমন কোন সংসদ সদস্য নাই যিনি বলতে পারবে না, যে নদী ভাঙ্গন হয়েছে আর মেরামত করার জন্য আমাকে অনুরোধ জানিয়েছেন আমি তাৎক্ষনিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহন করিনি।এমনও হয়েছে বাজেট নেই আমি বলেছি, আগামী বছরের বাজেট দিয়ে টাকা পরিশোধ করবো, টেন্ডার দিয়ে দেও।

৩৫০ জন সংসদ সদস্যের মধ্যে কেউ বলতে পারবে না-যে আমাকে তার এলাকার সমস্যার কথা বলেছেন আর আমি আশ্বাস দেইনি।সেজন্য বর্ষা কিংবা শুশকো মৌসুমে নদী ভাঙ্গন হোক, আমরা চেষ্টা করি তাৎক্ষনিক ভাঙ্গনটা রোধ করতে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে কোন এলাকা ভাঙ্গলে যেন তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেই।কারন ওই এলাকার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে হবে। সরকারের একটাই এজেন্ডা যে দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে হবে।আমি সেই কাজই করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন,আমি এখানে ৭ আগষ্ট ২০২০ সালে এসেছিলাম।তখন আপনারা রাস্তার কথা বলেছিলেন, ৭২ না ৭৬ টা ভাঙ্গন, লোকজন হেটে যেতে পারে না। আমি তাৎক্ষনিক নির্দেশনা দিয়েছি।তারপর প্রকৌশলীরাও কাজটি দ্রুত করার চেষ্টা করেছেন।

করোনার মধ্যে কেউ বের হতে পারেননি- তবে আশ্চরে্যর বিষয় হলো আমাদের পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীরা করোনার মধ্যেও রাত-দিন কাজ করে গেছেন।

আমরা সবাই মানুষ, সবাই পারফেক্ট না। দোষ-গুন আমাদের রয়েছে। কেউ বলতে পারবে না আমার কোন দোষ নেই। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীদের আন্তরিকতার কোন ঘাটতি নেই।বরিশালের চরবাড়িয়াতে একটা কাজ চলমান রয়েছে, আমি আরো প্রকল্প নিয়েছি সব মিলিয়ে যা ১২ থেকে ১৫ শত কোটি টাকা হবে।

তিনি বলেন, আমরা মানুষের দোষটা খুজি, কেউ উৎসাহ দেই না। কেউ যদি কাজ করে তাকে উৎসাহ দেয়া হলে সে উৎসাহিত হয়।আপনারা আমাকে ভোট দিয়ে বানিয়েছেন, আমার দায়িত্ব আপনাদের খোজ-খবর নেয়া,আপনার দোড় গোড়ায় আসা। আমার কাছে আসতে কোন ভায়া মিডিয়া লাগে না। সরাসরি কথা বলতে পারবেন। আর মনে রাখবেন আমি হারাম খাইনা।

তিনি বলেন, সন্তানদের লেখাপড়া শেখান। খালি স্লোগান মাইর্যান একজনের পেছনে আরেকজন লাইগ্যা না থাইক্যা লেখাপড়া শেখান। আর সন্তান যেন মাদকের দিকে আকৃষ্ট না হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। নিজের ভালো চিন্তা করে সন্তানকে লেখাপড়া শেখান, মাদক থেকে দুরে রাখুন আর সরকারের উন্নয়নমূলক কাজে সহযোগীতা করুন।

বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী শরীফ মোঃ জামালা উদ্দিন, বরিশাল সদর উপজেলার ভাইচ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মাহাবুবুর রহমান মধু প্রমুখ। বক্তব্য প্রদান শেষে তিনি স্থানীয়দের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন।

উল্লেখ্য বরিশাল সদর উপজেলার তালতলী বাজার আরএইচডি-লামছরি হাট সড়ক পুনর্বাসন প্রকল্পের প্রাক্কলিত মূল্য ধরা হয়েছে ১ কোটি ৯১ লাখ ২১ হাজার ১৫০ টাকা।