বিসিবির অধীনেই ঢাকার দল গঠন ও পরিচালনা!

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

কোন বড়সড় আয়োজনের আগে হইচই-সাড়া পড়ে অনেক। সত্য-মিথ্যা কিছু গুঞ্জনও ছড়ায়। তার ডালপালাও গজায়। আর এবারের বিপিএলে সেটা একটু বেশিই হয়েছে বা হচ্ছে। একাধিক তারকাকে বিভিন্ন দলের অটো চয়েজ বলে চালিয়ে দেওয়া হলেও পরে জানা যায় যে, তারা অটো চয়েজ নন। তাদের প্লেয়ার্স ড্রাফটে উঠতে হবে।

বলার অপেক্ষা রাখে না, দেশের ক্রিকেটের একাধিক শীর্ষ তারকাকে নিয়েই শোনা গেছে এমন গুঞ্জন। যেমন ঢাকার অটো চয়েজ ছিলেন সৌম্য সরকার। কিন্তু যাদের সঙ্গে এ বাঁহাতি উইলোবাজের কথাবার্তা চূড়ান্ত হয়েছিল, সেই রুপা অ্যান্ড মার্ন গ্রুপ কনসোর্টিয়ামের হাতে এখন ঢাকার মালিকানাই নেই।

ঢাকার মালিক রুপা অ্যান্ড মার্ন গ্রুপ কনসোর্টিয়াম সময়মতো (বৃহস্পতিবার রাতে) বিসিবির বেঁধে দেওয়া শর্তপূরণ করতে না পারায় ফ্র্যাঞ্চাইজি স্বত্ব হারিয়েছে।  পাঠকরা আজ বিকেলেই জেনে গেছেন এ খবর। মূলত ঘটনা ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাতে। তবে তা জানাজানি হয়েছে আজ।

এখন রাত পোহালে প্লেয়ার্স ড্রাফট। শেষ মুহূর্তে ঢাকার মালিকানা নিয়ে সংশয় দেখা দেওয়ায় কিছু সম্পূরক প্রশ্ন উঠেছে। প্রথম প্রশ্ন, এখন কারা ঢাকার হয়ে ওই ড্রাফটে অংশ নেবে? ভেঙে বললে ঢাকার দল সাজাবেন কারা? প্লেয়ার্স ড্রাফটে ঢাকার টেবিলে বসবেন কে বা কারা?

এর বাইরে আরও একটি প্রশ্নও উঠেছে। তা হলো, মালিকানা নিয়ে সংশয় ও জটিলতা তৈরি হওয়ার কারণে না আবার টুর্নামেন্ট থেকে একটি দল কমিয়ে ফেলা হয়? এসব জানতে কৌতূহল অনেকেরই। এ কৌতূহল মেটাতে গিয়ে জানা গেছে, বিসিবি ও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের পক্ষ থেকে ঢাকার মালিকানা জটিলতা সমাধানের প্রাণপণ চেষ্টা চলছে।

বোর্ডের উচ্চপর্যায়ের দায়িত্বশীল এক সূত্র জানিয়েছে, এখনও নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি খোঁজা হচ্ছে। আগ্রহী কোনো কর্পোরেট হাউজ বা কনসোর্টিয়াম পেলে তাদের ঢাকার মালিকানা স্বত্ব দেওয়া হবে। এমনও খবর আছে যে, সেটা আজ (রোববার) রাতের মধ্যেও ব্যবস্থা হয়ে যেতে পারে।

তবে বোর্ডের একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের চুক্তি ও শর্ত মেনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আপাতত অর্থের জোগান দেবে বিসিবি। প্রাথমিকভাবে ঢাকার দল গঠন, প্লেয়ার্স ড্রাফটে অংশ নেওয়া ও আনুষঙ্গিক কাজকর্ম বোর্ডের পক্ষ থেকেই করা হবে। পাশাপাশি ফ্র্যাঞ্চাইজি বা স্পন্সর খোঁজা হবে। পাওয়া গেলে তাদেরও জড়ানো হবে।