মিরপুরে রনির ৫ উইকেট, আশরাফুলের ১৫ বলে শূন্য

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

পুরোপুরি না হলেও দুই ম্যাচের শুরুর চালচিত্রে অনেক মিল। বন্দর নগরীর জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ০ রানে প্রথম উইকেটের পতন ঘটেছিল বিসিবি উত্তরাঞ্চলের। দুই তরুন ওপেনার তানজিদ তামিম ও পারভেজ ইমন ফিরেছেন কোন রান না করেই।

একইভাবে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ওয়ালটন মধ্যাঞ্চলের বিপক্ষে রানের খাতা খোলা হয়নি ইসলামি ব্যাংক পূর্বাঞ্চলের ডানহাতি ওপেনার মোহাম্মদ আশরাফুলের। স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ১৫ বলে ০ রান নিয়ে ফিরেছেন জাতীয় দলের এ সাবেক উইলোবাজ। পাশাপাশি অধিনায়ক ইমরুল কায়েসও সুবিধা করতে পারেননি, ফিরে গেছেন ৩২ রানে।

সকাল সকাল পূর্বাঞ্চলের ঐ দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে দেন ওয়াল্টন মধ্যাঞ্চলের পেসার রবিউল। এরপর বাঁহাতি স্পিনার হাসান মুরাদও বল হাতে জ্বলে ওঠেন। তবে আসল কাজটি করেন বাঁহাতি পেসার আবু হায়দার রনি। তার ধারালো পেস আক্রমণে পূর্বাঞ্চল মিডল ও লেট অর্ডার পুরোপুরি ভেঙে যায়।

তিন নম্বরে নামা শাহাদাত হোসেন দিপু ৭২ রানের দায়িত্বপূর্ণ ইনিংস খেলে পূর্বাঞ্চলকে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করানোর চেষ্টা চালান। কিন্তু হাসান তাকে আউট করে মধ্যাঞ্চলকে খেলায় ফেরান। এরপর শুরু হয় বাঁহাতি পেসার আবু হায়দার রনির বোলিং তোপ। যার মুখে একের পর এক সাজঘরে ফেরেন ইরফান শুক্কুর, নাদিফ চৌধুরী, প্রিতম কুমার, এনামুল হক ও তানভির ইসলাম।

তাতেই পূর্বাঞ্চলের বড় সংগ্রহের পথ হয় রুদ্ধ, ৯৩ রানে ৫ উইকেট নেন আবু হায়দার রনি, ৩ উইকেট দখল করেন বাঁহাতি স্পিনার হাসান মুরাদ। পেসার রবিউলের ঝুলিতে জমা পড়ে ২ উইকেট। তাদের সাঁড়াশি আক্রমণে ২৪৫-এ শেষ হয় ইমরুল বাহিনীর প্রথম ইনিংস।

জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম দিনের খেলা শেষে এক ওভারে বিনা উইকেটে ৪ রান তোলে মধ্যাঞ্চল।

ইসলামি ব্যাংক পূর্বাঞ্চল প্রথম ইনিংস: ২৪৫/১০ (৮৩.৫ ওভার; ইমরুল কায়েস ৩২, আশরাফুল ০, শাহাদাত হোসেন দিপু ৭২, ইরফান শুক্কুর ১৪, আফিফ হোসেন ধ্রুব ০, নাদিফ ২৬, প্রিতম কুমার ৩০, নাইম হাসান ৪০*, এনামুল হক ১, তানভির ইসলাম ২০, আসাদুজ্জামান ০; আবু হায়দার রনি ৫/৯৩, হাসান মুরাদ ৩/৪ , রবিউল ২/২৯)

ওয়ালটন মধ্যাঞ্চল প্রথম ইনিংস: ৪/০ (১.০ ওভার; মিজানুর রহমান ২*, মোহাম্মদ মিঠুন ২*)