বরিশালের আগৈলঝাড়ায় এক স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে চেতনা নাশক ওষুধ খাইয়ে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। রবিবার ধর্ষিতা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। এদিকে ধর্ষনে সহায়তাকারী এক দম্পত্তিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ধর্ষিতা একই উপজেলার বাহাদুপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বাহাদুপুর গ্রামের দীপক জয়ধর দীর্ঘদিন ধরে তার বাড়িতে মাদক ও নারীদের অবৈধ কার্যকলাপের ব্যবসা করে আসছে। গত শনিবার রাতে বাড়ির পাশের এক স্কুলছাত্রী ঘর থেকে বের হওয়ার পর দীপক ও তার স্ত্রী কচি জয়ধর জোরপূর্বক তাকে তাদের বাসায় ধরে নিয়ে যায়। পরে তারা তাকে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে একই এলাকার তাপস শীলের সহযোগিতায় তাদের এক বন্ধু ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। বাড়ির লোকজন টের পেলে তাপস ও তার বন্ধু পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা পুলিশকে সংবাদ দিলে ওই রাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ধর্ষিতা ছাত্রীকে উদ্ধার এবং ধর্ষণের সহযোগিতা করায় দীপক ও তার স্ত্রী কচি জয়ধরকে আটক করে।
এ ঘটনায় ধর্ষিতা বাদী হয়ে আটককৃত দুইজন এবং তাপস ও তার বন্ধুকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
আগৈলঝাড়া থানার ওসি মনিরুল ইসলাম জানান, এ মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আটককৃতদের ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। ধর্ষিতাকে ডাক্তারি পরীক্ষা ও ২২ ধারায় জবানবন্দি প্রদানের জন্য সোমবার আদালতে প্রেরণ করা হবে।