শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে যারা ডিগ্রি নিয়ে বের হবে তারা কেউ শিক্ষিত বেকার হবে না। তারা কর্মক্ষম মানুষ হবে। নিজেরা উদ্যোক্তা হয়ে অন্যের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে।
শনিবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মহসিন হল মাঠে বঙ্গবন্ধু আন্তঃহল চূড়ান্ত বক্তৃতা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বেশি বেশি গবেষণা হবে, নতুন জ্ঞান সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখাসহ জ্ঞানের চর্চা করবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিক্যাল মাস্টারপ্ল্যানের বিষয়ে তিনি বলেন, একটা ফিজিক্যাল মাস্টারপ্ল্যান হয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। ফিজিক্যাল মাস্টারপ্ল্যানের আগে একটা একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান প্রয়োজন। একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যানের কথা মাথায় রেখেই ফিজিক্যাল মাস্টারপ্ল্যান করতে হবে। তাহলেই আমরা সত্যিকারে বলতে পারবো যে আমরা কোথায় যেতে চাই, কীভাবে যেতে চাই, কখন যেতে চাই এবং কী ফল অর্জন করতে চাই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অত্যন্ত সংকটাপন্ন অবস্থায় দেশকে দিকনির্দেশনা দিয়ে এগিয়ে নিয়ে গেছে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলন, আজও আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় এ বিশ্ববিদ্যালয় দিকনির্দেশক হিসেবে ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করি।
বাংলাদেশকে এগিয়ে যেতে হলে বঙ্গবন্ধুকে জানতে হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে জানলে আমরা আমাদের দেশকে জানবো। দেশের ইতিহাস কে জানবো।
আজকের শিক্ষার্থীরা আগামী দিনের সোনার বাংলা গড়ে তুলবেন যে সোনার বাংলার স্বপ্ন বঙ্গবন্ধু দেখেছিলেন বলে উল্লেখ করেন ডা. দীপু মনি।
নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত আমরা একটি সম্পূর্ণ নতুন শিক্ষাক্রম শুরু করেছি এবং সেই শিক্ষাক্রম অনুযায়ী আগামী বছর থেকে আমাদের যে নতুন শিক্ষাক্রম সেটি ট্রাই আউটে যাচ্ছে। এটিকে বিভিন্ন পর্যালোচনা করে পরিমার্জিত করে ২০২৩ সালে বাস্তবায়ন করবো। ২০২৩ সাল থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে এটি পুরোদমে কাজ করবে।
নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে আশাবাদী মন্ত্রী। তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কোয়ালিটি এডুকেশন প্রয়োজন। কারণ আজকে আমরা যা শিখছি সে শিক্ষা হয়তো দুই-চার বছর পর কোনো কাজেই লাগাতে পারবো না। তাই নতুন বিষয় শিখতে হবে, নতুন বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
শিক্ষাক্রমটি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক করা হয়েছে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সেখানে বিজ্ঞানপ্রযুক্তি শিক্ষার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। দক্ষ এবং যোগ্য মানব সম্পদ তৈরি করতে চাই আমরা, যারা হবে অভিযোজনে দক্ষ এবং সক্ষম।