স্কুলে ভর্তি: ১১ দিনে সাড়ে ৯ লাখ আবেদন

লেখক:
প্রকাশ: ৪ years ago

২০২২ শিক্ষাবর্ষে সারাদেশের সরকারি-বেসরকারি স্কুলগুলোতে ভর্তির অনলাইন আবেদন কার্যক্রম চলছে। গত ২৫ নভেম্বর থেকে আবেদনপত্র গ্রহণ শুরু হয়েছে। আগামী ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। রোববার (৫ ডিসেম্বর) পর্যন্ত সরকারি স্কুলে ৬ লাখ ৪৮ হাজার আর বেসরকারিতে প্রায় ৩ লাখ ৫ হাজার আবেদন জমা পড়েছে। সেই হিসাবে বেসরকারি স্কুলের তুলনায় সরকারি স্কুলে দ্বিগুণ আবেদন জমা পড়েছে বলে জানা গেছে।

সরকারি স্কুলে ভর্তির আবেদন নিয়ে অধিদপ্তরের জারি করা সংশোধিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা মহানগরীসহ সারাদেশের সব সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০২২ শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।

ভর্তির ক্ষেত্রে বিদ্যালয় থেকে কোনো ফরম বিতরণ করা হবে না। শুধুমাত্র অনলাইনে আবেদন করা যাবে। সেজন্য যেতে হবে gsa.teletalk.com.bd   এই ঠিকানায়। এখান থেকে সরকারি বা বেসরকারি অপশনে ক্লিক করে আবেদন ফরমে যেতে হবে। এ পর্যায়ে যেসব তথ্য চাওয়া হবে সেগুলো দেওয়ার পর ছবি দিতে হবে।

ভর্তির আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১১০ টাকা, যা শুধু টেলিটক প্রি-পেইড থেকে এসএমএসের মাধ্যমে পরিশোধ করা যাবে। নতুন বছরের ভর্তি আবেদন গত ২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে। আগামী ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে এ কার্যক্রম।

এদিকে ঢাকা মহানগরীর ৪৪টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় (তিনটি ফিডার শাখাসহ) তিনটি ভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত থাকবে। আবেদনের সময় একজন প্রার্থী একই গ্রুপে পছন্দের ক্রমানুসারে সর্বাধিক পাঁচটি বিদ্যালয় নির্বাচন করতে পারবে। শিক্ষা মন্ত্রণায়ের নির্দেশনা মোতাবেক ২০২২ শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীর বয়স ছয় বছরের বেশি নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়া সারাদেশে আবেদনকারীরা প্রতিষ্ঠান নির্বাচনে থানাভিত্তিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা পাবে। এক্ষেত্রে প্রার্থীরা প্রাপ্যতার ভিত্তিতে প্রতিটি আবেদনে সর্বোচ্চ পাঁচটি বিদ্যালয় পছন্দের ক্রমানুসারে নির্বাচন করতে পারবে। ডাবল শিফটের প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে দুই শিফট পছন্দ করলে পছন্দক্রম সম্পন্ন হয়েছে বলে বিবেচিত হবে। একই পছন্দক্রমের বিদ্যালয় কিংবা শিফট দ্বিতীয়বার পছন্দ করা যাবে না।

ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনাকারি প্রতিষ্ঠান মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে জানা গেছে, সারাদেশে সরকারি স্কুলে ভর্তিতে গতকাল রোববার (৫ ডিসেম্বর) রাত পর্যন্ত ৬ লাখ ৪৭ হাজার ৮৭৪টি আবেদন এসেছে। আর বেসরকারি স্কুলে ভর্তির জন্য ৩ লাখ ৫ হাজার ২৩টি আবেদন জমা হয়েছে। আগামী ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে এ আবেদন করা যাবে।

এ বিষয়ে ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব ও মাউশির উপ-পরিচালক মো. আজিজ উদ্দিন বলেন, স্কুল ভর্তির আবেদন ও লটারি সংক্রান্ত বিষয়টি টেলিটক মোবাইল প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে। আগামী দু/একদিনের মধ্যে সারাদেশের সকল স্কুলের শূন্য আসনের তালিকা পাওয়া যাবে। এরপর নির্ধারিত সময়ে লটারি আয়োজন করা হবে।

করোনা ভাইরাসজাতীয়প্রচ্ছদবরিশাল এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
কমলাপুর রেলস্টেশনের ঘাস নিয়ে লাইভ করার পর এবার ট্রেনে ওঠার সময় নারী ও বৃদ্ধাদের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ফের ফেসবুক লাইভ করলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। বৃদ্ধ মা-বাবা, স্ত্রী ও বাচ্চাদের নিয়ে যারা রেলে চলাফেরা করেন তাদের প্রতি কি একটু সহায় হবেন- এমন আহ্বান জানান তিনি। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেউ যদি বউ-বাচ্চা, বৃদ্ধা মা-বাবাকে নিয়ে ট্রেনে উঠতে চান তা হলে বউ থাকবে কই আর মা-বাবা থাকবে কই। শুক্রবার (৫ জুলাই) রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ফেসবুকে লাইভে এসে এসব কথা বলেন ব্যারিস্টার সুমন। লাইভে এসে প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনে ওঠার সিঁড়ির দূরত্ব দেখিয়ে সুমন বলেন, ‘এই ট্রেনটাকে মিটার গেজ (পরে সংশোধন করে বলেন ব্রডগেজ) বলা হয়। আমার প্রশ্ন হলো-প্ল্যাটফ্রম থেকে দূরত্ব বা উচ্চতা কত? ব্রিটিশ আমলের ট্রেনগুলো ছিল এমন। আপনারা (রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ) নতুন ট্রেন আনলেন কিন্তু প্ল্যাটফর্ম এখনো পুরনো।’ রেলওয়ে স্টেশনে উপস্থিত লোকদের দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘দেখেন সবাই, প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনের উচ্চতা দোতলার সমান। কোনো স্টেশনে ট্রেনটি তিন মিনিট থামে। তিন মিনিটে ৫০ জন মানুষ প্রায় দুই তলার সমান উচ্চতায় ওঠা কি সম্ভব?’ রেলমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘রেলমন্ত্রী, ট্রেন আপনি অনেক উঁচু বানিয়ে দিছেন। আর প্ল্যাটফর্ম এখানে বিট্রিশ আমলের। আমি কমলাপুর সেন্ট্রাল স্টেশন থেকে বলছি। আর গ্রামের স্টেশনগুলোর অবস্থা তো আরও খারাপ। সেখানে ট্রেনে উঠতে তো রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়। বউ বাচ্চা নিয়ে ওঠা একটা বে-ইজ্জতের কারবার।’ তিনি আরও বলেন, ‘দুনিয়া এগোচ্ছে, সব কিছু এগোচ্ছে। রাতারাতি পরিবর্তন করতে পারবেন না। তবে ব্রেইনে আনেন পরিবর্তন করার। আপনারা বউ-বাচ্চা লইয়া ট্রেনে যাতায়াত করবেন কি-না জানি না। তবে, এই প্ল্যাটফর্ম ট্রেনের সমান করতে কোটি কোটি টাকার দরকার পড়বে না। আশা করি রেলমন্ত্রীসহ সকলেই এর প্রতি সদয় হবেন।’ এর আগে (৩০ মে) ব্যারিস্টার সুমন স্টেশনের সামনে রেললাইনের ওপর বেড়ে ওঠা ঘাস কেটে পরিচ্ছন্ন করার অনুরোধ জানিয়ে তার নিজের ফেসবুক পেজে লাইভ দেন। এর পরদিনই (শুক্রবার) সেসব ঘাস কেটে পরিষ্কার করে ফেলে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। পরিবারকে গ্রামের বাড়িতে পাঠানোর জন্য ট্রেনে তুলে দিতে কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে ফেসবুক লাইভে আসেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। সেখানে তিনি দেখেন, রেললাইনের ওপর বড় বড় ঘাস জন্মেছে। যা কাটার জন্য কারো সময় নেই। ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘রেলের সময় নিয়ে আমার কোনো অভিযোগ নেই। মোটামুটি ভালোই চলতেছে। এজন্য রেল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।’ ওই লাইভে তিনি আরও বলেন, এটা দেশের সবচেয়ে বড় রেলস্টেশন। এটা কেন্দ্রীয় রেল স্টেশন। এ সময় তিনি এক হাত লম্বা লম্বা ঘাস দেখিয়ে বলেন, ‘কিছু লোক লাগিয়ে ঘাসগুলো পরিষ্কার করলে স্টেশনটা অনেক সুন্দর হয়ে যেত।’
৬ years ago