মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে নবম সেক্টরের কমান্ডার এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জাসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মেজর এম এ জলিলের ৩২তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭ টায় উপজেলা মেজর এম এ জলিল স্মৃতিফলকে পুস্পমাল্য অর্পন করেন মেজর এমএ জলিল পরিষদের নেতৃবৃন্দ। এসময় উপস্থিত ছিলেন মেজর এম.এ জলিল পরিষদের এ্যাড. আমির হোসেন মিঞা, নুরু সিকদার, বাজার কমিটির সভাপতি শামসুল হক সিকদার, মজিবুর রহমান, মুকিম মাষ্টার প্রমুখ।
মেজর এম.এ জলিলের মৃত্যুবার্ষিকীতে স্মরন করেনি মুক্তিযোদ্ধা ও জাসদের নেতৃবৃন্দ। মুক্তিযোদ্ধা ও জাসদের কোন কর্মসূচি না থাকায় এ নিয়ে সমালোচনা করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মেজর এম এ জলিল ১৯৪২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারী উজিরপুরের সিকদার পাড়ায় জন্মগ্রহন করেন। তার পিতার নাম জোনাব আলী চৌধুরী। ১৯৬২ সালে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীতে ট্রেইনি অফিসার হিসেবে যোগদান করেন তিনি।
চাকরিরত অবস্থায় তিনি বি এ পাস করেন। ১৯৬৫ সালে তিনি কমিশনপ্রাপ্ত হন এবং ১২ নং ট্যাঙ্ক ক্যাভালরি রেজিমেন্ট অফিসার হিসেবে তৎকালীন পাক-ভারত যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭০ সালে তিনি মেজর পদে উন্নীত হন।
১৯৭১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ছুটি নিয়ে তিনি বরিশালে যান এবং মার্চে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) গঠনে তিনি যুক্ত ছিলেন। তিনি ছিলেন এ দলের যুগ্ম আহŸায়ক। ১৯৭৩ সালে তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন।
এ ছাড়া তিনি ১৯৮১ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ১৯৮৪ সালে তিনি জাসদ সভাপতির পদ থেকে ইস্তেফা দেন। পরবর্তীতে তিনি জাসদ ত্যাগ করে জাতীয় মুক্তি আন্দোলন নামে একটি দল গঠন করেন।
১৯৮৯ সালের ১৯ নভেম্বর তিনি পাকিস্তানের ইসলামাবাদে মৃত্যুবরণ করেন। পরে ২২ নভেম্বর তার লাশ ঢাকায় আনা হয় এবং সামরিক মর্যাদায় দাফন করা হয়। বর্তমানে তার দুইটি কন্যা সন্তান রয়েছে ব্যারিষ্টার সারাহ জলিল ও ব্যারিষ্টার ফারাহ জলিল।