টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চরম ব্যর্থতার পর হতাশ পুরো দেশ, জাতি। দেশের ক্রিকেট ভক্ত ও অনুরাগি মহলে সমালোচনার ঝড়। ক্রিকেটার, টিম ম্যানেজমেন্ট, কোচিং স্টাফ, নির্বাচক প্যানেল আর বোর্ড নীতি নির্ধারক- কেউই বাদ যাচ্ছেন না। সবার ভূমিকাই হচ্ছে সমালোচিত। নিন্দিত।
লিটন, নাইম, সৌম্য, মুশফিক, মোস্তাফিজরা অনুজ্জ্বল, হতশ্রী পারফরমেন্সের জন্য রীতিমত ভৎসনার শিকার। পাশাপাশি হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো, ব্যাটিং কোচ অ্যাশওয়েল প্রিন্স, বোলিং কোচ ওটিস গিবসন আর ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুকের গোষ্ঠিও উদ্ধার করা হচ্ছে। নির্বাচক কমিটি এবং বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনসহ বোর্ডের নীতি নির্ধারকদের কার্যক্রম নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। পাশাপপাশি ক্রিকেট পাড়ায় এখন নানা গুঞ্জন। আর রদবদলের খবর।
বিশ্বকাপের ব্যর্থতা ও অনুজ্জ্বল পারফরমেন্স কাটিয়ে জাতীয় দল আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারবে কী পারবে না? টিম বাংলাদেশে বড় ধরনের কোন পরিবর্তন আসবে কী আসবে না? কোচিং স্টাফে রদবদল আনা হবে কি না- এর বাইরে নির্বাচক প্যানেলে পরিবর্তনের গুঞ্জনও শোনা যাচ্ছে।
প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নুর বদলে আবার প্রধান নির্বাচক হচ্ছেন ফারুক আহমেদ, জাতীয় দলের ব্যর্থতার পর আবার ফারুককে ফিরিয়ে আনার চিন্তা ভাবনা চলছে- এমন খবরও ভেসে বেড়াচ্ছে ক্রিকেটাঙ্গনে।
এর সত্যতা কতটুকু? পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ দরজায় কড়া নাড়ছে। আর মাত্র ৯ দিন পর পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। তার আগে ওই তিন ম্যাচের সিরিজকে সামনে রেখে আগামীকাল ১০ নভেম্বর প্রাথমিক দল ঘোষণা করা হবে।
এরপর ১৬ নভেম্বর নাগাদ টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড চূড়ান্ত করা হবে এবং এরপর টেস্ট দল সাজানোর কাজ। এমন এক গুরুত্বপূর্ণ সময়ে প্রধান নির্বাচক পদে রদবদল ঘটানো মানেই পুরো প্রক্রিয়ায় একটা হ য ব র ল অবস্থার উদ্রেক ঘটানো। বিসিবি কি তা করবে?
প্রধান নির্বাচক পদে পরিবর্তন আনার অর্থ দল সাজানো আর ক্রিকেটার নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ঢালাও রদবদলের সম্ভাবনা, এখন হুট করে বিসিবি সে পথে হাঁটবে কিনা? তা নিয়েও আছে সংশয়। যাকে নিয়ে গুঞ্জন, সেই ফারুক আহমেদ অবশ্য বলছেন, তিনি এখনো কিছুই জানেন না। আজ মঙ্গলবার বিকেলে মুঠোফোনে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ফারুক জাগো নিউজকে জানান, আমিতো কিছুই জানি না। কই বোর্ড থেকে এখনো কোন ফোন পাইনি।’
অন্যদিকে বিসিবি প্রধান নির্বাহী নিজমউদ্দীন চৌধুরী একই ইস্যুতে পরিষ্কার কোন মন্তব্য করতে নারাজ। প্রধান পরিচালক পদে কি পরিবর্তন আসছে ? মিনহাজুল আবেদিন নান্নুর জায়গায় কি আবার ফারুক আহমেদকে প্রধান নির্বাচক পদে বসানো হচ্ছে?
এমন প্রশ্ন করা হলে বিসিবি সিইও মুঠোফোনে জানান, ‘আমি এ ব্যাপারটা বলতে পারবো না। এটাতো পলিসির ব্যাপার। আমি পলিসি মেকিংয়ের পার্টনার। আমি ইমপ্লিমেন্ট-এর ব্যাপারগুলোই শুধু জানি। পলিসি মেকার যারা, তাদের জিজ্ঞেস করুন। আমি এর মধ্যে নেই। এ রকম কোন পরিকল্পনা কী আছে?
নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজনের জবাব, আসলে এখন তো মিডিয়ায় অনেক কথাই আসছে। এ মুহূর্তে বিভিন্ন রকমের কথা হচ্ছে। সে গুলোকে নিউজ বা ফ্যাক্ট হিসেবে ধরতে পারেন না। আলোচনাতো অনেক রকম হতেই পারে। সেটাই স্বাভাবিক। তবে আমি এটা বলতে পারবো না।