বাবুগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের ৪ঘন্টা ব্যবধানে চুরি হওয়া একটি মাহিন্দ্রা উদ্ধার করা হয়েছে এবং সফল অভিযান চালিয়ে মাহেন্দ্রা চুরির ঘটনায় জড়িত ২জনকে আটক করেছে বাবুগঞ্জ থানা পুলিশ।
চুরির সাথে জড়িত জসিম উদ্দিন এবং আলী আকবর নামের দুইজনকে জেলার গৌরনদী থানা পুলিশের সহযোগীতা নিয়ে বুধবার দিবাগত রাত ২টা ৩০মিনিটে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী একই রাত্র সাড়ে ৩ টায় বাবুগঞ্জ উপজেলার এয়ারপোর্ট থানাধীন চাঁদপাশা ইউনিয়নের দরিয়াবাদ এলাকা থেকে মাহিন্দ্রাটি উদ্ধার করা হয়।
বুধবার রাত সাড়ে ১২টায় মাহেন্দ্রা মালিক জুলহাস বাবুগঞ্জ থানায় অজ্ঞাত নামা আসামী করে একটি চুরি মামলা দায়ের করেন । মামলা সুত্রে জানাযায়, গত ৩ নভেম্বের বুধবার বাবুগঞ্জ বাজার এলাকা থেকে বিকেল ০৫:৩০টায় মাছ বহনকারী একটি মাহিন্দ্রা চুরি হয়ে যায়।
মাহিন্দ্রাটি গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়া থেকে মাছ বহন করে বাবুগঞ্জ বাজারে এসেছিল। গাড়ি চালক মোঃ জুলহাস ফকির মাছ নামিয়ে মাহিন্দ্রাটি বাবুগঞ্জ বাজারস্থ সরোয়ার চেয়ারম্যানের বাসার সামনে রেখে গাড়ির চাবি নিয়ে গোসল ও দুপুরের খাবার খেতে যান।
অতপর বিকেল ০৫:৩০টায় তিনি চেয়ারম্যান বাসার সামনে গিয়ে দেখেন তার মাহিন্দ্রাটি নেই। মাহিন্দ্রা না পেয়ে শুরু হয় গাড়ি চালক জুলহাস ও তার সহযোগী হাফিজুর রহমানের’র খোঁজাখুজি। তারা বাজারসহ সম্ভাব্য স্থানে খুঁজেও কোথায় না পেয়ে বাবুগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।
বাবুগঞ্জ থানার ওসি মোঃ মাহাবুবুর রহমান বাবুগঞ্জ বাজারে মাহিন্দ্রা চুরি হওয়া স্থান এলাকার সিসি টিভির ধারন করা ভিডিও দৃশ্য দেখে সঙ্গীয় পুলিশ নিয়ে অনুন্ধানে নামেন। পরে বাবুগঞ্জ থানার এসআই মাহতাব (মামলার তদন্তকারি) গৌরনদী থানার এসআই আব্দুল হক এর সহযোগীতা নিয়ে চুরির সাথে জড়িতদের আটক করেন ও তাদের স্বিকারোক্তি অনুযায়ী চুরি যাওয়া মাহিন্দ্রা উদ্ধার করেন।
ওসি মাহবুবুর রহমান বলেন, আমারা সিসি টিভির ফুটেজ দেখে সন্দেহভাজনদের রাতের মধ্যে আটক করতে সক্ষম হয়েছি। এটা বাবুগঞ্জ থানা পুলিশের একটি সফলতা।