সালমান রহমান কূটনৈতিক প্রতিবেদক:: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব-এর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫৮-তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ দূতাবাস, আদ্দিস আবাবায় কয়েকটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উক্ত আয়োজনে স্থানীয় ইথিওপীয়গণ, প্রবাসী বাংলাদেশ কমিউনিটির অতিথিবৃন্দ স্বপরিবারে এবং দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা/কর্মচারীবৃন্দ এবং তাদের পরিবারবর্গ অংশগ্রহণ করেন।
দূতাবাসের উদ্যোগে ‘শেখ রাসেল দিবস‘ উপলক্ষে সকালে অত্র দূতাবাসের পক্ষ থেকে আদ্দিস আবাবায় একটি ইসলামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মাঝে কোরআন, রেহেল এবং হোয়াইট বোর্ড ও লেখনী সামগ্রী বিতরণ করা হয়। প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থীবৃন্দ ও দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ শেখ রাসেল এবং বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের রূহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। এরপর ‘শেখ রাসেল দিবস-২০২১‘ উপলক্ষ্যে স্থানীয় শিশুদের নিয়ে চিত্রাংকণ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় এবং বিজয়ী প্রতিযোগীদের এবং অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে আকর্ষণীয় পুরস্কার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
পরবর্তীতে স্থানীয় সময় দুপুর ১২:০০ টায় দূতাবাসে আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পবিত্র ধর্মগ্রন্থ পাঠ এবং দোয়ার মাধ্যমে ‘শেখ রাসেল দিবস‘ এবং হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু, তাঁর পরিবারবর্গ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তি সংগ্রামের সকল শহিদদের রূহের মাগফেরাত কামনা করা হয়।
জাতীয় ‘শেখ রাসেল দিবস-২০২১‘ উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত পৃথক পৃথক বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। অত:পর আগত দর্শক শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে ‘শেখ রাসেল দিবস‘-এর উপরে নির্মিত এক‘টি প্রামাণ্যচিত্র (ভিডিও) প্রদর্শিত হয়। প্রামাণ্য চিত্রের পর প্রবাসী বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় স্বতঃস্ফূর্ত মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে প্রবাসী বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
আলোচনা অনুষ্ঠানে অত্র দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত সর্বপ্রথম প্রতিকূল কভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবেলা করে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারবর্গের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন যে, বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু হলেও তার মূল্যবোধ, নীতি ও আদর্শ আরও শক্তিশালী হয়েছে এবং স্বাধীনতা বিরোধীরা-এ ভয়েই শিশু রাসেলসহ বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সকলকে হত্যা করেছে। তিনি উল্লেখ করেন যে, শেখ রাসেলের জন্ম বার্ষিকী পালনের উদ্দেশ্যই হলো যে ভবিষ্যতে যেন আর কোন নিষ্পাপ শিশু এভাবে নৃশংসতার শিকার না হয় এবং পৃথিবীর সকল শিশু যাতে পিতা-মাতার স্নেহ ও ভালোবাসায় সিক্ত থেকে বড় হয়ে উঠতে পারে।
তিনি তার ও শেখ রাসেলের একই স্কুলে পড়বার স্মৃতিচারণ করেন। তিনি শহিদ শেখ রাসেলের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সূচিত উন্নয়নের ধারায় সকলকে সম্পৃক্ত হতে আহবান জানান এবং বলেন যে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তবায়নের মাধ্যমেই বঙ্গবন্ধু ও শেখ রাসেলের স্মৃতির প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান প্রদশর্ন করা হবে। পরিশেষে আগত অতিথিদের জন্য দুপুরের আপ্যায়নের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের কিছু স্থিরচিত্র এতদ্সঙ্গে সংযুক্ত করা হলো।