নাটোরে প্রথম ও চতুর্থ শ্রেণির প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে সদর উপজেলার ১০২টি স্কুলে বার্ষিক গণিত পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিভাবকদের তীব্র ক্ষোভের মুখে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাটোরের জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সোমবার সকালে সদর উপজেলার ১০২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম ও চতুর্থ শ্রেণির গণিত বিষয়ে বার্ষিক পরীক্ষার দিন ধার্য ছিল। এতে প্রায় চার হাজার পরীক্ষার্থীর অংশ নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সদর উপজেলার আগদিঘা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষা শুরুর পর কয়েক ব্যক্তি বাইরে অভিভাবকদের মধ্যে হাতে লেখা একটি প্রশ্নপত্রের কপি বিতরণ করে। ওই কপির সঙ্গে পরীক্ষা কেন্দ্রে সরবরাহ করা প্রশ্নপত্রের হুবহু মিল হওয়ায় ফাঁসের বিষয়টি ধরা পড়ে। এ সময় অভিভাবকসহ স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। ইউএনও জেসমিন আক্তার বানু ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আলী আশরাফসহ পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। পরে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ওই দুই ক্লাসের গণিত পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।
এরপর জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শামীম ভূঁইয়াকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য দু’জন হলেন দিঘাপতিয়া এমকে কলেজের অধ্যক্ষ আবদুর রাজ্জাক ও সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম আনোয়ার হোসেন। কমিটিকে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্থগিত গণিত পরীক্ষা আগামী ২১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কমিটির সদস্য এ কে এম আনোয়ার হোসেন।