পায়রা সেতুর বদলৌতে আশার আলো

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago
??

পটুয়াখালী প্রতিনিধি ॥ বহুল প্রতীক্ষিত পটুয়াখালীর দৃষ্টিনন্দন পায়রা ফোর লেন সেতু খুলে দেওয়া হচ্ছে চলতি মাসে। সেতুর বদলৌতে অর্থনৈতিক সাফল্যের চূড়ান্ত রূপের দিকে আরো একধাপ এগিয়ে যাচ্ছে দক্ষিণাঞ্চলবাসী। যাত্রাবাড়ি-মাওয়া-ভাঙ্গা-বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কে ১৯২ কিলোমিটার এবং বরিশাল-পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের ২৭ কিলোমিটারে সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালে।

 

পায়রা সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ৪৪৭ কোটি টাকা। ব্যয়ের ৮২ ভাগ বহন করছে কুয়েত ফান্ড ফর আরব ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট এবং অ্যাপেক্স ফান্ড। বর্তমানে সেতুটির প্রায় ৯৯ শতাংশের বেশি কাজ শেষ হয়েছে। বাকি রয়েছে সৌন্দর্যবর্ধন ও রং এর কাজ। অন্যান্য নির্মাণকাজ সম্পন্ন করে চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে যানচলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে সেতুটি।

 

দুটি অ্যাবাটমেন্ট ও ৩১টি পিয়ারে নির্মিত হয়েছে এটি। সেতুর মোট দৈর্ঘ্য ১ হাজার ৪৭০ মিটার, প্রস্থ ১৯ দশমিক সাত ছয় মিটার। এছাড়াও রয়েছে ১ হাজার ২৬৮ মিটার এপ্রোচ সড়ক, টোলপ্লাজা ও প্রশাসনিক ভবন। পায়রা সেতুর প্রকল্প পরিচালক আবদুল হালিম জানান, সেতুর অধিকাংশ কাজ শেষ হয়েছে। এ মাসের (অক্টোবর) মাঝামাঝি দিকে সেতু উদ্বোধন ও গাড়ি চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করার বিষয়ে জানানো হবে।

তিনি আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনের মধ্যদিয়েই যানচলাচলের জন্য সেতু উন্মুক্ত হবে। সেতুর একটি বিশেষত্ব হচ্ছে এটিতে যুক্ত করা হয়েছে হেলথ মনিটরিং ও পিয়ার প্রটেকশন সিস্টেম। যেকোন ধরনের দুর্ঘটনায় সিগন্যাল দেবে।

 

জেলার গণ্যমান্যব্যক্তিরা জানিয়েছেন, সেতুটি চালু হলে ঢাকা থেকে কাছের দূরত্বে চলে আসবে কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত। কুয়াকাটা পৌঁছাতে সময় লাগবে মাত্র সাত ঘণ্টা। বরিশাল থেকে পায়রা সমুদ্রবন্দর, তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র ও কুয়াকাটা যেতে সময় লাগবে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা। এছাড়াও সেতু চালু হলে কুয়াকাটা পর্যটন শিল্পের আরও উন্নতি হবে।

 

তবে কিছুদিন পূর্বে সেতুর টোল নির্ধারণ নিয়ে পরিবহন খাত ও সাধারণ মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। যাত্রীবাহী বাস পারাপারে সেতুর টোল নির্ধারণ করা হয়েছে ফেরি পারাপারের তুলনায় প্রায় ৭ গুণ বেশি। সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে জানা যায়, সড়ক পরিবহন বিভাগ ও মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে টোল নির্ধারন হয়েছে।