গোপালগঞ্জে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অমিতোষ হালদারের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

অমৃত রায়, জবি প্রতিনিধি:: গোপালগঞ্জে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের (১০ম ব্যাচ) শিক্ষার্থী অমিতোষ হালদারের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
 
বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে সাড়ে ৮টায় বাড়ির পাশের একটি গাছে তার মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম। নিহত অমিতোষ হালদার সাহাপুর ইউনিয়নের ভূপেন্দ্র হালদার ও মীতা হালদারের সন্তান।
 
পুলিশ সূত্র জানায়, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। ইতোমধ্যে কয়েকপাতা সুইসাইড নোটও পাওয়া গেছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও কেন তিনি আত্মহত্যা করেছেন বা অন্য কোনো বিষয় আছে কী না তা তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে বলে জানায় পুলিশ।
 
অমিতোষ হালদারের মৃত্যুর খবর জেনে তার সহপাঠী তাজনূর ইসলাম তার ফেসবুক প্রোফাইলে লিখেন, মায়াবী মুখের অমিতোষ। আমার দেখা বিনয়ী মানুষদের একজন। যতবার দেখা হয়েছে, এগিয়ে এসে জড়িয়ে ধরে একটাই কথা বলতো। ‘বন্ধু কেমন আছো?’ আমি আমার সহজাত জবাবটাই দিতাম। পারিবারিক কোনো এক টানাপোড়েনের কারনে মাঝখানে প্রায় ২ বছর সে আর ক্লাসে আসেনি। পরে যখন ওর সাথে আবার দেখা হয়, আবারও সেই একই দৃশ্য। ক্লাসে বেশিরভাগ সময়ই একা বসতে পছন্দ করতো। খুব বেশি বন্ধুও ছিলো না ওর। বিষয়টিকে সহজভাবেই নিতাম আমরা। কিন্তু এতো সহজ মানুষ কী করে এতো কঠিন সিদ্ধান্ত নিলো, মানতেই পারছি না।
 
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একই বিভাগের আবরার জাহিন অমিতোষ হালদারের সম্পর্কে লিখেন, আমার সঙ্গে যে কয়েক দিনই কথা হয়েছে খুব শান্তশিষ্ট ভাবে কথা বলেছে। এমনভাবে কথা বলেছেন খুব কাছের একজন কেউ। সে যেন আমার মনের সবকিছু জানে। এভাবে কাছের মানুষ গুলো হারিয়ে দিন দিন খুব একা হয়ে যাচ্ছি। ওপারে ভালো থাকবেন ভাই।