রাজশাহীতে অবসরপ্রাপ্ত এক সেনা সদস্যকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা ও অর্থ লুটের অভিযোগে দুই শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতাররা হলেন- নওগাঁ জেলার মান্দা থানার বালিচ গ্রামের মাহবুবুর রহমানের স্ত্রী আইরিন ইয়াসমিন লিজা (৩৪) ও ঢাকা জেলার সাভার থানার ডেন্ডাবর নতুনপাড়া পলাশবাড়ী গ্রামের মো. ফিরোজের মেয়ে মোসা. শামীমা আক্তার (২৪)। তারা দুজনই ঢাকার সাভারে একটি বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা।
সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ও মহানগর পুলিশের মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস।
তিনি বলেন, অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মজিবুর রহমানের আত্মহত্যার বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছিল। তবে মৃতের বড় ছেলে জানান তার বাবার মোবাইল ফোন পাওয়া যায়নি। আবার তার স্ত্রী জানান বাড়িতে থাকা নগদ ৪ লাখ টাকা ও ব্যাংকের কিছু কাগজপত্র খুঁজে পাওয়া যায়নি। এসব ঘটনা আমলে নিয়ে তদন্ত কাজ অব্যাহত থাকে। তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে রোববার রাতে ঢাকায় অভিযান চালিয়ে আইরিন লিজাকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যমতে ওই রাতেই নওগাঁ জেলার মান্দা থানা এলাকা থেকে শামীমাকে গ্রেফতার করা হয়। একই সঙ্গে তাদের ব্যক্তিগত ও মৃত মজিবুরের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, গ্রেফতাররা জানান, মৃত মজিবুরের সঙ্গে লিজার কথপোকথন ও অন্তরঙ্গ সম্পর্ক ছিলো। ঘটনার দিন তারা দুজন মজিবুরের বাসায় গিয়ে তার পাশের রুমে অবস্থান করছিলেন। লিজাকে মজিবুর মেসেঞ্জারে মেসেজ দিয়ে তার রুমে ডাকেন। লিজা তার রুমে যেতে না চাইলে মজিবুর আত্মহত্যা করবেন বলে মেসেজ পাঠান। লিজা তার রুমে না গিয়ে বিভিন্ন প্রকার মেসেজের মাধ্যমে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করলে মজিবুর একপর্যায়ে অভিমান করে নিজ রুমের ভেতর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
মহানগর পুলিশের মুখপাত্র বলেন, দুই নারী মজিবুরকে সত্যি সত্যি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করতে দেখে তার বাড়ির আলমারির চাবি নিয়ে নগদ অর্থ, ব্যাংকের কিছু কাগজ ও মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যান। শিক্ষকতার আড়ালে তারা ব্ল্যাকমেইলিং ও যৌনতার সঙ্গে জড়িত। তারা একটি সংঘবদ্ধ দলের সদস্য বলেও স্বীকার করেছেন।
তিনি আরও বলেন, গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনা দিয়ে হত্যা ও অর্থ আত্মসাতের মামলা হয়েছে। এছাড়া মৃত মজিবুর রহমা