স্বাধীন বাংলাদেশে কিশোর গ্যাংয়ের অস্তিত্ব থাকবে না: র‌্যাব

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

স্বাধীন বাংলাদেশে কিশোর গ্যাংয়ের কোনো অস্তিত্ব থাকবে না বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (এডিজি-অপারেশন্স) কর্নেল কে এম আজাদ। তিনি বলেন, কিশোর গ্যাং দমনে র‌্যাব বস্তুনিষ্ঠ পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মগবাজারের বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খান কামাল কমপ্লেক্সে ‘সবার হোক একটাই পণ, কিশোর অপরাধ করবো দমন’ শিরোনামে কিশোর অপরাধবিরোধী সামাজিক প্রচারণা কার্যক্রম ও র‌্যাব নির্মিত টিভিসির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

র‌্যাব এডিজি কে এম আজাদ বলেন, বর্তমান ডিজিটাল যুগে তথ্যের অবাধ প্রবাহ রয়েছে। এর মধ্যে ভালো-মন্দ দুটোই আছে। আমাদের সবাইকে ভালোটা বেছে নিতে হবে, আর মন্দকে দূরে রাখতে হবে। আজ আমরা যে কিশোর গ্যাংয়ের কথা বলছি, এটা আমাদের নয়। আমাদের কিশোররা বিদেশি কিছু অপসংস্কৃতি অনুসরণ করছে মাত্র। যা আমাদের পরিবার, সমাজ, শিক্ষা ব্যবস্থায় কিছু দুর্বলতার কারণে বাড়ছে।

কর্নেল আজাদ বলেন, ২০১৭ সালে রাজধানীর উত্তরায় আদনান নামে এক কিশোরকে হত্যার মাধ্যমে কিশোর গ্যাং অপসংস্কৃতি আলোচনায় আসে। চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডে মূলহোতাসহ বেশ কয়েকজনকেই আইনের আওতায় এনেছে র‌্যাব। পরে উত্তরা, গাজীপুরসহ আরও বেশ কয়েকটি স্কুলের ছাত্র হৃদয়, শুভসহ আরও কয়েকটি হত্যাকাণ্ড ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়।

 

তিনি আরও বলেন, কিশোর গ্যাং নামে অপসংস্কৃতি রোধে গ্যাং কালচারের সঙ্গে জড়িত অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এতে গ্যাং কালচার অনুসরণ করা কিশোররা নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। তবে এটাকে এই মুহূর্তে শেষ বলা যায় না। কিশোর গ্যাং দমনে র‌্যাব বস্তুনিষ্ঠ পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা চাচ্ছি, আভিযানিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি জনসচেতনতা ও বিভিন্ন প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে সবাইকে সম্পৃক্ত করতে চাচ্ছি। এই স্বাধীন বাংলাদেশে কিশোর গ্যাংয়ের অস্তিত্ব থাকবে না বলে জানান তিনি।

র‌্যাব এডিজি বলেন, কিশোর গ্যাং বন্ধে সারাদেশে র‌্যাবের সব ব্যাটালিয়ন অনেকগুলো অভিযান করেছে ও বর্তমানে বিভিন্ন জায়গায় অব্যাহত রেখেছে। মার্চ থেকে এ পর্যন্ত ২৩৪ জনকে র‌্যাব বিভিন্নভাবে আইনের আওতায় নিয়ে এসেছে। আমরা সবাইকে কিন্তু আইনের আওতায় আনিনি, অনেককে বুঝিয়ে তাদের পিতা-মাতা বা শিক্ষকদের কাছে দিয়েছি। পশ্চিমা এই কালচার অনুসরণ করতে গিয়ে আমাদের কিশোররা দলভিত্তিক বিভিন্ন গ্রুপে হিংসা-বিদ্বেষ, চাঁদাবাজি, কোন্দলে জড়িয়েছে। এতে সহিংস ঘটনা ঘটেছে। প্রাথমিকভাবে গ্যাং কালচার ঢাকাকেন্দ্রিক থাকলেও বর্তমানে জেলা বা বিভাগীয় শহরে সহিংসতা দেখছি।

র‌্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন ও বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ প্রমুখ।