রিশাল নগরীর ২৮ নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে উপ-নির্বাচনে মনোনয়নপত্র মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) যাছাই বাছাই সম্পন্ন হয়েছে।
যাছাই-বাছাইয়ে বিএনপির প্রার্থী মো: হুমায়ুন কবির এর মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন নির্বাচন কমিশন। সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নুরুল আলম এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নগরীর ২৮ নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে উপ-নির্বাচনে ৪ জন প্রার্থীর মধ্যে একজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
সূত্র বলছে, জনতা ব্যাংক কর্পোরেট শাখায় বিএনপির প্রার্থী হুমায়ুন কবিরের ৩ কোটি ৮৬ লাখ টাকা ঋন খেলাপির দায়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম নির্বাচন কমিশনে ঋন খেলাপির বিষয়টি অবগত করেন।
এছাড়া হুমায়ুন কবির কৃষি ব্যাংকে ঋন খেলাপি রয়েছে। মনোনয়নপত্র যাছাই-বাছাইয়ের খবর পেয়ে কৃষি ব্যাংকের এক কর্মকর্তা সেখানে যায়। কৃষি ব্যাংক কর্মকর্তার আসার বিষয়টি টের পেয়ে হুমায়ুন কবির কৌশলে তাকে নিয়ে গোপনস্থানে নিয়ে যায়।
অত:পর কৃষি ব্যাংকের ওই কর্মকর্তার সঙ্গে গোপন বুনিবনার দেনদরবারের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন থেকে পাঠিয়ে দেন। এছাড়া বিএনপির প্রার্থী হুমায়ুন কবির নির্বাচন কমিশনে যে স্থায়ী ঠিকানার তথ্য দিয়েছে, তাও সঠিক নয়।
স্থানীয়রা জানায়, হুমায়ুন কবির ২৮ নং ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা নন। তিনি কমিশনে যে ঠিকানা দিয়েছে, সেখানে তিনি থাকছেন না। এই হুমায়ুন কবির বসবাস করছেন নগরীর বগুড়া রোডের ইডেন ক্লিনিক লাগোয়াস্থানে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এই হুমায়ুন কবির মূলত: জামায়াত-শিবিরের কর্মকান্ডের সঙ্গে সম্পূক্ত। জামায়াত-শিবিরের বিভিন্ন ধরণের নাশকতামূলক কর্মকান্ডে তিনি অর্থের যোগানসহ বিভিন্নভাবে সহায়তা করছেন। স্থানীয়রা তাকে বয়কট করেছন।
একটি সূত্র জানায়, হুমায়ুন কবিরের গ্রামের বাড়ি মেহেন্দিগঞ্জে। তার পিতার নাম ফজলে আলী। ফজলে আলীর ভাই হযরত আলীর চহৎপুর এলাকায় বিশাল সম্পত্তি ছিল।
একপর্যায়ে হযরত আলী তার ভাই ফজলে আলীকে এক একর সম্পত্তি দানও করেন। পরবর্তীতে চাচা হযরত আলী মারা যাওয়ার পর ওই সম্পত্তি হুমায়ুনের নিজ নামে ডিগ্রী করে ভোগ দখল করছেন।
হুমায়ুনের জালজালিয়াতির মামলাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। স্থানীয় সূত্রগুলো বলছে, এই হুমায়ুনের বিরুদ্ধে জাল জালিয়াতিতে অপরের সম্পত্তি জবর দখল করার অভিযোগ রয়েছে। এলাকায় হুমায়ুন ভূমিদস্যু হিসেবেই পরিচিত।