প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শ্রীকৃষ্ণের একমাত্র লক্ষ্য ছিল মানুষে মানুষে ভ্রাতৃত্ব স্থাপন এবং সমাজে সাম্য প্রতিষ্ঠা। তিনি আজীবন শান্তি, মানবপ্রেম ও ন্যায়ের পতাকা সমুন্নত রেখেছেন। শ্রীকৃষ্ণ তার জীবনাচরণ এবং কর্মের মধ্য দিয়ে মানুষের আরাধনা করেছেন।
সোমবার (৩০ আগস্ট) শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে এক বাণীতে এ কথা বলেন তিনি।
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বী সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এদেশে সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষ যুগ যুগ ধরে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছে। আমাদের সংবিধানে সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমানাধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি- ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। আওয়ামী লীগ সরকার দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর। শ্রীকৃষ্ণের আদর্শ ও শিক্ষা বাঙালির হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করবে বলে বিশ্বাস করি।
তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণে বর্তমানে বিশ্ব বিপর্যস্ত। এ প্রেক্ষাপটে স্বাস্থ্যবিধি এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে সবাইকে জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠান পালনের আহ্বান জানাচ্ছি। সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি, তিনি যেন আমাদের দেশ ও জাতি তথা বিশ্ববাসীকে এই মহামারি হতে মুক্তি দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আশা করি এই জন্মাষ্টমী উৎসব শ্রীকৃষ্ণের ভক্তগণকে তার জীবনাদর্শ অনুসরণ করতে আরও অনুপ্রাণিত করবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলব। আমি জন্মাষ্টমী উপলক্ষে দেশের সব নাগরিকের সুখ, শান্তি ও কল্যাণ কামনা করি।