গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১৯৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ২৪ হাজার ৫৪৭ জনের।
নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৫৩৫ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ ৩৩ হাজার ৩৯৬ জন। মৃত ১৯৮ জনের মধ্যে পুরুষ ১১৬ জন ও ৮২ জন নারী।
মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাছিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১২ হাজার ৯৫০ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৩ লাখ ১৪ হাজার ৯১৬ জন।
সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭১৯টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এরমধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১৩৩টি, জিন এক্সপার্ট ৫৩টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ৫৩৩টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৩৮ হাজার ৮৮১টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৯ হাজার ২৭৮টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৮৪ লাখ ৮০ হাজার ৮১৪টি।
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ১৮ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৯০ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯১ দশমিক ৭৩ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭১ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১৯৮ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে রয়েছেন ৭২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫২ জন, রাজশাহী বিভাগে নয়জন, খুলনা বিভাগে ২৬ জন, বরিশাল বিভাগে সাতজন, সিলেট বিভাগে ১৮ জন, রংপুর বিভাগে ছয়জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে আটজন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ১৫১ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ৪১ জন এবং বাড়িতে তিনজন মারা যান। এছাড়াও আরও তিনজনকে মৃত অবস্থায় হাসাপাতালে আনা হয়।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে একজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে নয়জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১৯ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৪১ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৬৯ জন,৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৩৪ জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ১২ জন, ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে দুইজন রয়েছেন।
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন এক হাজার ৭১৭ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন চার হাজার ৯১৬ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন তিন লাখ ৪৬ হাজার ২৪৪ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন দুই লাখ ৭০ হাজার ৫৬৪ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৭৫ হাজার ৬৮০ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।