করোনা সংক্রমণের ৫১৭ তম দিনে আবারও ২৪ দেশে করোনায় মৃত্যুবরণ করেছে ২৬১ জন। একই সময়ে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৮ হাজার ১৩৬ জন। যা নিয়ে এখন পর্যন্ত রোগী শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৪৩ হাজার ৩৯৬ জন।
শনিবার (৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, নতুন মৃত্যু নিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে ২২ হাজার ৪১১ জনের।
২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১৬ হাজার ৩৮৩ জন। এখন পর্যন্ত ভাইরাসের সাথে লড়াই করে সুস্থ হয়েছেন ১১ লাখ ৮৮ হাজার ৮২০ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগ্রহীত হয়েছে ৩১ হাজার ৭০২টি আর নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩১ হাজার ৭১৪টি। দেশে এখন পর্যন্ত করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা হলো ৮০ লাখ ৭৫ হাজার ৪০৭টি। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৫৯ লাখ ৫৫ হাজার ৪৪৯টি আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ২১ লাখ ১৯ হাজার ৯৫৮টি।
২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্তের হার ২৬ দশমিক ২৫ শতাংশ আর এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ আর শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার ১ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
আর ২৬১ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ১৮৫ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ৭২ জন আর বাড়িতে মারা গেছেন তিনজন।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান-আইইডিসিআর জানিয়েছে, গত জুন মাসে দেশে কোভিড-১৯ রোগীদের নমুনা থেকে ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্স করে দেখা গেছে, ৭৮ শতাংশই ডেল্টা ধরনের।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গতবছর ৮ মার্চ; তা আট লাখ পেরিয়ে যায় এ বছর ৩১ মে। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে গত ৭ এপ্রিল রেকর্ড ৭ হাজার ৬২৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। এরপর আগের সব রেকর্ড ভেঙে ৬ জুলাই ১১ হাজার ৫২৫ জনের করোনার ধরা পড়ে।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ১১ মে তা ১২ হাজার ছাড়িয়ে যায়।