করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে আজ (৭ আগস্ট) দেশব্যাপী শুরু হচ্ছে গণটিকাদান কার্যক্রম। ২৫ বছর ও তদূর্ধ্ব জনগোষ্ঠী, নারী, শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষকে প্রাধান্য দিয়ে এই গণটিকাদান কার্যক্রম চলবে ১২ আগস্ট পর্যন্ত। ৬ দিনে ৩২ লাখের মতো মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
প্রতিদিন টিকাদান শুরু হবে সকাল ৯টায়, চলবে বেলা ৩টা পর্যন্ত। জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে এনে এই টিকা নেওয়া যাবে। ইউনিয়ন, পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশন ওয়ার্ডগুলোতে প্রথমবারের মতো এই টিকা দেওয়া হবে।
শুক্রবার (৬ আগস্ট) ঢাকার মহাখালীতে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনসের সভাকক্ষে টিকা কার্যক্রম নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম এসব পরিকল্পনার কথা জানান।
ডা. এবিএম খুরশীদ আলম বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে টিকাদানের পরিসর বাড়াতে যাচ্ছে সরকার। এর অংশ হিসেবে আগামী ৭ থেকে ১২ অগাস্ট ছয় দিনে সারা দেশের ১৫ হাজারের বেশি টিকাদান কেন্দ্রে প্রায় ৩২ লাখ মানুষকে প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সারাদেশে চার হাজার ৬০০টি ইউনিয়নে, এক হাজার ৫৪টি পৌরসভায় এবং সিটি কর্পোরেশন এলাকার ৪৩৩টি ওয়ার্ডে ৩২ হাজার ৭০৬ জন টিকাদানকারী এবং ৪৮ হাজার ৪৫৯ জন স্বেচ্ছাসেবীর মাধ্যমে একযোগে করোনা টিকা দেওয়া হবে। এছাড়া রোহিঙ্গা শিবিরেও টিকা দেওয়া হবে।
দেশে এরইমধ্যে ১ কোটি ৪৭ লাখ ৩৩ হাজার ৩১৪ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। দুই ডোজ পেয়েছেন ৪৪ লাখ ৪৩ হাজার ৫১৭ জন। আর দেশে এ পর্যন্ত করোনার টিকা এসেছে ২ কোটি ৫৬ লাখ ৪৪ হাজার। এসবের কিছু অংশ এসেছে উপহার হিসেবে, কিছু টিকা পাওয়া গেছে কোভ্যাক্স প্রকল্পের আওতায়।