মাগুরায় কঠোর বিধিনিষেধ অমান্য করে বাবাকে নিয়ে ইজিবাইকে করে ডাক্তার দেখাতে যাচ্ছিলেন সদরের জগদল গ্রামের বাসিন্দা সুজন শেখ। শহরের ভায়না এলাকায় আসলে ইজিবাইকটি থামায় পুলিশ। জেরার মুখে পড়েন তিনি। এগিয়ে আসেন ম্যাজিস্ট্রেট মুবাশ্বিরা আমাতুল্লাহ।
সুজন শেখ জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটকে জানান, বাবার ছোট একটা চায়ের দোকানের আয় দিয়ে ৬ জনের সংসার চলে। বাবা কয়েকদিন ধরে অসুস্থ হয়ে পড়ায় অনাহারে অর্ধাহারে কাটছে তাদের দিন। বাবাকে নিয়ে আসছেন জেলা সদরে ডাক্তার দেখাতে। জরিমানা দেওয়ার মতো টাকা তার কাছে নেই- বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন সুজন শেখ।
ম্যাজিস্ট্রেট মুবাশ্বিরা আমাতুল্লাহ আপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি জরিমানা বাদ দিয়ে চিকিৎসা বাবদ কিছু টাকা তুলে দেন সুজনের হাতে।
শনিবার (২৪ জুলাই) বিকেলে ভায়না মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সুজন শেখ বলেন, দরিদ্র পরিবারে বাবা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে ঘরে পড়ে ছিলেন। চিকিৎসা করাতে পারছিলাম না। কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে বের হয়ে ভয় পেয়ে যাই। জরিমানার টাকা আমি কোথায় পাবো। উল্টো স্যার আরও টাকা দিয়ে দিলেন।
ম্যাজিস্ট্রেট মুবাশ্বিরা আমাতুল্লাহ বলেন, মানবিক কারণে সুজনের বাবাকে চিকিৎসা ব্যয় মেটানোর জন্য ব্যক্তিগতভাবে কিছু অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
মাগুরা জেলা প্রশাসক ড.আশরাফুল আলম বলেন, জেলাবাসীকে ভালো রাখতেই সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকর করতে আমরা সবাইকে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ক্ষেত্র বিশেষ কঠোর হচ্ছেন। ম্যাজিস্ট্রেট মামলা না নিয়ে বাবার চিকিৎসার টাকা দিয়েছেন তাকে আমি ধন্যবাদ জানাই।
তিনি দেশের এই দুঃসময়ে সবাই সবার পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান।