তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে দারুণভাবে শুরু করেছে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়েকে তাদের মাটিতে ১৫৫ রানে হারিয়ে বিদেশের মাটিতে সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ড গড়েছে তামিম অ্যান্ড কোং। কিন্তু ব্যাট হাতে অবদান রাখতে না পারা বাংলাদেশ অধিনায়ক প্রত্যাশা করেছেন দ্বিতীয় ম্যাচে বড় ইনিংস খেলার; সঙ্গে সাকিব আল হাসানের কাছেও আশা করেছেন বড় রানের।
রোববার (১৮ জুলাই) বাংলাদেশ সময় দুপুর দেড়টায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। খেলাটি সরাসরি দেখাবে টি-স্পোর্টস ও গাজী টিভি। অনলাইনে দেখা যাবে র্যাবিটহোলবিডি-তে। এই ম্যাচ জিতলেই বাংলাদেশ এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ নিশ্চিত করে ফেলবে।
বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচে জয় পেলেও ব্যর্থ ছিল টপ অর্ডার। অধিনায়ক নিজে আউট হয়েছেন শূন্য রানে। সাকিব ভালো শুরু করেও টিকতে পারেননি ক্রিজে। এরপর লিটন দাসের সেঞ্চুরি আর আফিফ-মিরাজের দৃড়তায় লড়াকু সংগ্রহ (২৭৬) করেই থামে বাংলাদেশ। এবার নিজের ও সাকিবের কাছে বড় ইনিংস চান তামিম।
শনিবার জিম্বাবুয়ে থেকে পাঠানো ভিডিও বার্তায় তামিম বলেন, ‘উন্নতির কোনো শেষ নেই। তবে কম রানে যদি তিনটা উইকেট পড়ে যাওয়া (৫৭ রানে ৩ উইকেট) আদর্শ না। টপ অর্ডার থেকে আমি বা সাকিব যদি আরেকটু ভালো খেলি, তাহলে দল হয়তো এমন অবস্থায় পড়বে না। চেষ্টা করব যে পরের ম্যাচে এমন সুযোগ এলে কাজে লাগাতে।’
প্রথম ম্যাচে তামিম নিজে ঝুঁকি নিয়েই খেলেছেন। জানিয়ে দিয়েছেন বাকি ম্যাচগুলোতেও তাই হবে। তবে মোস্তাফিজুর রহমানের ইনজুরি নিয়ে স্পষ্টভাবে কিছু বলতে পারেননি অধিনায়ক। আর লিটন দাসকে নিয়ে জানিয়েছেন শঙ্কার কিছু নেই। অর্থাৎ বাংলাদেশকে দেখা যেতে পারে অপরিবর্তিত একাদশেই।
তামিম বলেন, ‘আমার ব্যাপারে তো কম বেশি বলা হয়ে গেছে। এই তিনটা ম্যাচই কম বেশি ঝুঁকি নিয়ে খেলতে হচ্ছে। কিন্তু আমি কোনোরকমে ম্যানেজ করছি। লিটনের অবস্থা আমি যতটা জানি এখন আগের চেয়ে অনেক ভালো। সে হয়তো আগামীকালের জন্য প্রস্তুত। মোস্তাফিজেরটা এখনো ফিফটি ফিফটি। আজ বিকেলের দিকে আরেকটু ভালো বলতে পারব। এছাড়া সবাই ফিট।’
এই সিরিজ ওয়ানডে সুপারলিগের অংশ হওয়াতে সেরা শক্তি নিয়েই নামতে চাইছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে জিম্বাবুয়ে একাদশে দেখা যেতে সিকান্দার রাজাকে। রাজাকে না খেলালে একাদশ পরিবর্তন হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই জিম্বাবুয়ের।
প্রথম ওয়ানডের মতো পিচের কন্ডিশন একই হতে পারে। প্রথম ঘণ্টায় সুবিধা পাবেন বোলাররা। যেটা ব্লেসিং মুজারাবানি করেছেন বেশ ভালোভাবেই। তবে পরের দিকে সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যাটসম্যানদের জন্য বাড়তি সুবিধা দেবে উইকেট।
বাংলাদেশ সম্ভাব্য একাদশ: তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), লিটন দাস , সাকিব আল হাসান, মোহাম্মদ মিঠুন, মোসাদ্দেক হোসেন, মাহমুদউল্লাহ, আফিফ হোসেন, মেহিদী হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম।
জিম্বাবুয়ে সম্ভাব্য একাদশ: ওয়েসলি মাধভেরে টাডিওয়ানাশে মারুমনি, ব্রেন্ডন টেলর (অধিনায়ক), ডিয়ন মায়ার্স রেজিস চাকাভা, সিকান্দার রাজা, রায়ান বার্ল, লুক জংওয়ে, ব্লেসিং মুজারাবানি, তেন্ডাই চাতারা ও রিচার্ড নাগারাভা।