দাদির মামলায় মা জেল হাজতে। মামলা থেকে রেহাই পায়নি ১৩ বছরের শিশু। মামলার এজাহারে তার বয়স দেখানো হয়েছে ১৮ বছর। মায়ের মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আড়াই বছরের ভাইকে নিয়ে শনিবার (১৭ জুলাই) সকাল থেকে ধর্মঘট শুরু করেছে তারা দুই ভাই।
বরগুনা সদর উপজেলাধীন ৫নং আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের খেজুরতলা গ্রামের শাশুড়ি আলেয়া বেগমের মামলায় পুত্রবধু অনিতা জামান জেল হাজতে। অন্যদিকে মায়ের মুক্তির দাবীতে অবস্থান ধর্মঘটে আছেন বড় ছেলে আলিফ (১৩) ও দুগ্ধপোষ্য ছোট ছেলে গালিফ (আড়াই বছর)।
মায়ের মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত তারা রাস্তা থেকে উঠবেন না বলে জানিয়েছেন। শনিবার সকাল থেকে বরগুনা টাউনহল চত্ত্বর ও পরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে অবস্থান ধর্মঘট পালন করেন। ধর্মঘটে তাদের দাবী, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও অনতিবিলম্বে মায়ের মুক্তি হোক। সেই সাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বরগুনা-১ আসনের সাংসদ এ্যাড. ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পুত্র বধুকে জেলে পাঠিয়ে গত শুক্রবার শাশুড়ি আলেয়া বেগম তালা ভেঙে মেয়ে মনিরাকে নিয়ে ঘরে ওঠেন। এই বসত ঘর অনিতা জামানের বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে তৈরি করা হয়। মেয়ে মনিরা বেগমের একাধিক বিবাহের পরেও বাবার বাড়িতে থেকে অনৈতিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করায় দুই ছেলে ও দুই পুত্র বধুকে মিথ্যা মামলা দিয়েছেন শাশুড়ি। ছাড়েনি মাত্র ১৩ বছরে শিশু আলিফকেও।
তারা আরও জানান, অনিতা জামানের বড় ছেলে আলিফ ঘরের তালা ভেঙে ওঠার বিষয়টি জরুরি কল সেন্টার ৯৯৯ এ ফোন করে অভিযোগ করলে বরগুনা সদর থানার কর্তব্যরত এসআই দেবাশীস ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। কিন্তু ঘরে তালা ভেঙে ওঠার বিষয়টি তেমন গুরুত্বসহকারে আমলে নেননি। এসই জানান মা ছেলের ঘরে তালা ভেঙে ওঠা কোন অপরাধ নয়।