সড়ক অবরোধের ব্যারিকেড সরাতে গিয়ে শ্রমিকদের হামলার শিকার হয়েছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার কনস্টেবল ফারুক হোসেন। এ ঘটনায় আরও দুইজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
শুক্রবার (১৬ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল সংলগ্ন মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটেছে।
এ সময়ে পুলিশ ও শ্রমিকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
মারধরের শিকার ফারুক নিজেকে এয়ারপোর্ট থানার কনস্টেবল পরিচয় দিয়ে বলেন, দুপুরের খাবার নিয়ে আমি থানার দিকে যাচ্ছিলাম।
এ সময়ে ব্যারিকেড সরাতে বললে শ্রমিকরা এসে আমার ওপর হামলা চালায়। আমাকে মারধর করেন। আমাকে রক্ষা করতে আসায় আরও দুইজনকে মারধর করা হয়েছে।
তবে এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমলেশ চন্দ্র হালদার বলেন, এ ধরণের কোনো তথ্য আমার কাছে নেই।
শ্রমিকরা জানান, রূপাতলীতে বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের মারধরের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে জেলা বাস-মিনিবাস মালিক ও শ্রমিকদের সংগঠন সকাল সোয়া ১০টা থেকে সড়ক অবরোধ করে।
অবরোধ চলাকালে দুপুর ১টার দিকে কালো টি-শার্ট পরিহিত এক যুবক আমাদের ব্যারিকেড তুলে নিতে বলেন।
বাস শ্রমিক জুয়েল ও রাহাত বলেন, ওই যুবক ব্যারিকেড তুলে নিতে আমাদের হুমকি দিচ্ছিলেন। এর প্রতিবাদ করায় আমাদের সঙ্গে তর্কাতর্কি হয়। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের পুলিশ ধাওয়া দেন।
আমরাও তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করি। জুয়েল ও রাহাতও মারধরের সময়ে আহত হন বলে স্বীকার করেন।
পরে নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা হামলার শিকার কনস্টেবল ফারুককে জালাল আহম্মেদ পুলিশ বক্সে নিয়ে রক্ষা করেন।
বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কিশোর কুমার দে বলেন, জানতে পেরেছি বাসস্ট্যান্ডে শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের তর্কাতর্কি হয়েছে। কিন্তু কী কারণে হয়েছে তা এখনি বলতে পারছি না। পুরো বিষয় জেনে বলতে পারবো।