শামীম আহমেদ ॥ বিধবা মরিয়ম বেগম সত্তোর বছরের বৃদ্ধা। তারপরও পেটের দ্বায়ে কাজের সন্ধানে কঠোর লকডাউনেও ঘর থেকে বের হচ্ছেন এবং ইটভাঙ্গার কাজ করে জীবিকা নির্বাহের কাজ করছেন।
বয়সের ভাড়ে ইট ভাঙ্গার কাজটিও তেমনভাবে করতে না পারলেও, এ কাজ করে যে টাকা রোজগার করছেন তা দিয়ে কোনভাবে দিন কাটিয়ে দিচ্ছেন।
আর তার এমন কষ্টের জীবনের কথা জানতে পেরে খোদ গৌরনদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন বৃদ্ধার পাশে গিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। এরইমাঝে তাকে কিছু আর্থিক সহায়তা করেছেন, পাশাপাশি অসহায় এই বৃদ্ধের পাশে সমাজের বিত্তশালীদের এগিয়ে আসারও আহবান জানিয়েছেন তিনি । আর ওই বৃদ্ধার সাথে কথা বলার একটি ছবিও এরইমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
গৌরনদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন জানান,লকডাউন কার্যকরে তার থানা এলাকায় নিয়মিতো কাজের তদারকিতে বের হন তিনি। এসময় গৌরনদী উপজেলার বার্থী এলাকার প্রধান সড়কের পাশে মরিয়ম নামে ওই বৃদ্ধাকে ইট ভাঙ্গতে দেখেন। তখন তার কাছে এগিয়ে যান এবং লকডাউনের মাঝেও ঘর থেকে বের হয়ে ইট ভাঙ্গার কাজটি করার কারণ জানতে চান।
এসময় ওই বৃদ্ধা জানান, তিনি উপজেলার বাউর গাতি গ্রামের বাসিন্দা,স্বামী হালান সরদার মারা গেছেন অনেক আগে। বিয়ে হয়ে যাওয়ায় মেয়ে তার শশুরবাড়িতে থাকছেন বিধায় বাড়িতে তিনি একাই থাকেন। আর তার ভরণপোষন দেয়ার মতো কেউ না থাকায় নিজেকেই কাজ করে উপার্জন করে খেতে হয়। এজন্য ইটভাঙ্গার কাজটি করছেন। আর এ কাজ করে দিনে যে ২০-৩০ টাকা উপার্জন হয়,তা দিয়ে কোনভাবে জীবনধারণ করছেন।
ওসি আফজাল বলেন, ওই বৃদ্ধার কথাগুলো শোনার পর খুব খারাপ লাগছিলো, সাথে সাথে তাকে মাস্কসহ নিজের বেতনের টাকা দিয়ে কিছু আর্থিক সহায়তা করি। যা দিয়ে হয়তো ৮-১০ দিন কাটবে তার। কিন্তু বাকি দিনগুলো একটু ভালোভাবে কাটাতে সাহায্যের প্রয়োজন ওই বৃদ্ধার।