শামীম আহমেদ ॥ করোনা সংক্রমণ রোধে বরিশালে কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে সড়ক অনেটাই ফাঁকা দেখা গেছে। আজ শুক্রবার (০২ জুলাই) সকাল থেকেই বরিশাল জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের দুটি টিম নগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে।
এ সময় স্বাস্থ্যবিধিসহ সরকারি নির্দেশনা অমান্য করায় ১১ জনকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে প্রচারণা ও মাস্ক বিতরণ করা হয়। এদিকে লকডাউন মানাতে স্বাস্থ্যবিধির প্রচারণা নিয়ে সকালে বরিশাল নগরে র্যালি করেছে পুলিশ।
সেই সঙ্গে জুমার নামাজের খুতবার পূর্বে বরিশাল মেট্রোপলিটন এলাকার ৩৭০টি মসজিদে স্বাস্থ্যবিধি পালন ও লকডাউন বাস্তবায়নে নগরবাসীকে উদ্বুদ্ধ করতে সচতেনতামূলক বক্তব্য দেন করেন পুলিশ সদস্যরা। এর আগে সকালে বাজারগুলোতে কিছুটা ভিড় থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা কমে যায়। তবে বাজারগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে কোনো নজরদারি ছিল না।
আবার বাজারগুলোকেও খোলা জায়গায় নেয়া হয়নি, তাই সকালে বাজারগুলোতে যথারীতি আগের মতোই ভিড় ছিল।
এছাড়া সড়কে রিকশা, মোটরসাইকেল ছাড়া তেমন কোনো যানবাহন চলতে দেখা যায়নি। বরিশাল জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দার বলেন, লকডাউন কার্যকর করতে সকাল এবং বিকেল দুই ভাগে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে রয়েছেন।
যারা লকডাউন অমান্য করছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা চিচ্ছি আমরা। বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শাহাবুদ্দিন খান বলেন, বরিশাল নগরীর প্রবেশদ্বারগুলোসহ নগরের অভ্যন্তরে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে আমাদের চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। লকডাউন কার্যকর করতে নিয়মিত টহল দেওয়া হচ্ছে।