রূপালী ব্যাংকে যাদের বেতন তাদের জন্য বড় সুখবর

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

করোনাকালেও সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি এবং স্বায়ত্তশাসিত চাকুরিজীবি গ্রাহকদের জন্য বেশ কিছু সুবিধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত রূপালী ব্যাংক। তবে যেসব চাকুরীজীবিদের বেতন-ভাতা ব্যাংকটির গ্রাহক হিসাবের মাধ্যমে হয়ে থাকে তাদের জন্যই রয়েছে সুখবর।

পরিচালনা পর্ষদ সভায় গ্রাহকদের সুবিধা সংক্রান্ত বিষয় অনুমোদন দেওয়ার পর বুধবার (২৩ জুন) সব শাখায় এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠিয়েছে রূপালী ব্যাংক।

 

রূপালী ব্যাংক চাকুরিজীবি গ্রাহকদের জন্য যেসব সুবিধা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেগুলো হলো- ঋণের পরিমাণ বাড়ানো, ঋণের মেয়াদ বাড়ানো, গ্রাহকদের সুবিধার্থে শাখা থেকেই ঋণ অনুমোদন ক্ষমতা, ঋণের সুদ হার সিঙ্গেল ডিজটে রাখা।

রূপালী ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর (ডিএমডি) খন্দকার আতাউর রহমান বুধবার রাতে বলেন, স্বল্প আয়ের মানুষের সুবিধার কথা চিন্তা করে ব্যাংকের পর্ষদ রূপালী ব্যাংকের সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের চাকুরিজীবি গ্রাহকদের জন্য ঋণের পরিমাণ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একই সঙ্গে ঋণ পরিশোধের মেয়াদও বাড়ানো হয়েছে। তাছাড়া গ্রাহকদের সুবিধার্থে ঋণ অনুমোদন সহজ করতে শাখাগুলোকেও কিছু ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। এসব ঋণের সুদ হার হবে সিঙ্গেল ডিজিট। এসব সুবিধা দেয়ার মাধ্যমে গ্রাহকরা উপকৃত হবেন বলে আশা করছেন তিনি।

রূপালী ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, রূপালী ব্যাংকে যে সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকুরিজীবি বেতন হিসাব পরিচালনা করে সেসব গ্রাহকদের জন্য পার্সোনাল ঋণের মেয়াদ ও অনুমোদন ক্ষমতার সংশোধন করেছে করেছে পর্ষদ। নির্দেশনা অনুযায়ী, আলোচ্য হিসাবের বিপরীতে একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন। আগে একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারতেন।

 

নির্দেশনা অনুাযায়ী, ঋণের মেয়াদ বাড়িয়ে সর্বোচ্চ ৭ বছর করা হয়েছে, আগে ছিল ৫ বছর। এছাড়া গ্রাহকদের সুবিধার্থে নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এসপিও নিয়ন্ত্রিত শাখাগুলোর ক্ষেত্রে শাখা ব্যবস্থাপক ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ অনুমোদন করতে পারবেন। অপরদিকে, ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ অনুমোদন ক্ষমতা জোনাল ম্যানেজারের আওতাধীন রাখা হয়েছে। আলোচ্য ঋণের সুদহার হবে ৯ শতাংশ। তাছাড়া ঋণ নিতে গ্রাহক যে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত, সেই প্রতিষ্ঠানের অন্য যেকোনও একজন কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং পরিবারের গ্রহণযোগ্য একজন সদস্যকে ব্যক্তিগত গ্যারান্টার হতে হবে। ঋণের সমপরিমাণ স্বাক্ষরিত একটি চেক, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মচারীদের ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে উপজেলা শিক্ষা অফিসার কর্তৃক প্রদত্ত অনাপত্তিপত্র দিতে হবে। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের প্রধান বা নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ প্রদত্ত অনাপত্তিপত্র দিতে হবে।