সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে কলেজছাত্রীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এতে ওই কলেজছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে পুলিশ উদ্ধার করে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করায়।
রোববার (২০ জুন) সকালে ওই কলেজছাত্রীকে সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এর আগে শনিবার (১৯ জুন) সন্ধ্যা থেকে উপজেলার সোনাখাড়া ইউনিয়নের নিমগাছি বাজারের পুল্লাহ গ্রামে প্রেমিক মেহেদী হাসান সোহানের বাড়িতে অনশনে ছিলেন কলেজছাত্রী। তারা দুইজনই নিমগাছি ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী।
কলেজছাত্রী অভিযোগ করেন বলেন, তিন বছর ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক। প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রেমিক সোহান তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কও করেছে। সম্প্রতি বিষয়টি পরিবার জেনে যায়। এরপর থেকে সোহানকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে বিয়েতে রাজি হয়নি। এখন সে সম্পর্ক অস্বীকার করছে। তার পরিবারও এ সম্পর্ক মানতে নারাজ। এ পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়েই অনশন শুরু করি।
তিনি অভিযোগ করেন, এ সময় সোহানের মা-বাবা বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার চেষ্টা করেন। বের না হওয়ায় আমাকে মারধরও করা হয়। এতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে রায়গঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রোববার সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোহানের বাবা শফিকুল ইসলাম বলেন, তার ছেলের সঙ্গে ওই মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক নেই। এলাকার কিছু কুচক্রী মহল আমাদের ওপর ষড়যন্ত্র করে মানসম্মান ক্ষুণ্ণ করতেই ওই মেয়েকে আমার বাড়িতে তুলে দিয়েছে।
রায়গঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হোসাইন বলেন, প্রেম সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ওই মেয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছিল। সেখানে প্রেমিকের পরিবারের সদস্যরা তাকে নাকি মারধর করলে অসুস্থ হয়ে পড়ে।