প্রধমধাপের ইউপি নির্বাচনে বরিশালের উজিরপুর উপজেলার জল্লা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন দুই নারী প্রার্থী। এরমধ্যে একজন বর্তমান আরেক সাবেক চেয়ারম্যান হিসেবে ওই ইউনিয়নে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
প্রতিদ্বন্ধীতা করা নারী চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে বর্তমান চেয়ারম্যান ও নৌকা মার্কার প্রার্থী বেবী রানী হালদারের বিরুদ্ধে শুক্রবার সন্ধ্যায় নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর, হামলা ও ভোটারদের হুমকি দেওয়ার ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন আনারস মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি উর্মিলা বাড়ৈ।
জল্লা ইউনিয়নের নিজ নির্বাচনী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে উর্মিলা বাড়ৈ অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে নৌকার প্রার্থী বেবী রানী হালদার আমার নির্বাচনী কার্যালয়ের সামনে এসে গণসংযোগের নামে প্রকাশ্যে ভোটারদের হুমকি দিয়েছে।
ওইদিনই তার ভাড়াটিয়া বহিরাগত সন্ত্রাসীরা আমার নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। তারা ২১ জুন নির্বাচনের দিন ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য হুমকি অব্যাহত রেখেছে। ফলে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে তিনি চরম শঙ্কা প্রকাশ করেন।
সূত্রমতে, উর্মিলা বাড়ৈ ২০০৪ সালে বিএনপির শাসনামলে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত সাবেক জনপ্রিয় চেয়ারম্যান অবনী ভূষন বাড়ৈর সহধর্মিনী এবং বেবী রানী হালদার দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত জল্লা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিশ্বজিত হালদার নান্টুর সহধর্মীনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সম্প্রতি সময়ে বেবী রানী হালদারের একটি ফোনালাপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এতে সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড না করেই টাকা ভাগাভাগির গোপন তথ্য ফাঁস হয়ে যায়।
আওয়ামী লীগের দুইজন প্রার্থী ছাড়াও ওই ইউনিয়নে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন মোঃ নাসির উদ্দিন মল্লিক। এছাড়া সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১১ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৩৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। ইউনিয়নে সর্বমোট ২০ হাজার ১৯৭ জন ভোটার রয়েছেন।