‘দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে নৌপথ। আমাদের নৌপথগুলো যেমন সুগম হওয়া দরকার ছিল, লঞ্চঘাটগুলো যে পরিমাণ যাত্রীবান্ধব হওয়ার কথা ছিল, আমরা ৫০ বছরেও সেই ধরনের সুবিধা দিতে পারিনি। এটি আমাদের দুর্ভাগ্য।’
বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) বিকেলে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) পরিদর্শন জাহাজ প্রদর্শনীতে এসে পটুয়াখালী নদীবন্দর পরিদর্শনকালে নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী এসময় আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষের কথা সবসময়ে বলেন এবং এই দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষের উঠে আসার জন্য তিনি অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছেন। যার নেতৃত্ব দিচ্ছে এই পটুয়াখালী জেলা। পায়রা সমুদ্রবন্দর, তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র, শেখ হাসিনা সেনানিবাস, বিশ্ববিদ্যালয়, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল সবই এই জেলায় বিকশিত হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আগামী ১৫ বছরে এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক হাব হবে পটুয়াখালী। এই কারণে পায়রাবন্দর যে সময় পুরোপুরিভাবে চালু হবে সে সময়ে যাতে দক্ষিণ অঞ্চলের অভ্যন্তরীণ নৌপথগুলো সচল থাকে, সে কারণে এখন থেকেই কাজ শুরু করা হয়েছে। নিয়মিত এসব নৌ রুটগুলো পরিদর্শন করে তার ত্রুটি-বিচ্যুতিগুলো ঠিক করা হচ্ছে।’
সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের কারণে দক্ষিণ অঞ্চলের নদীবন্দরগুলোর অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও জানান নৌ প্রতিমন্ত্রী। এসব ক্ষতিগ্রস্ত লঞ্চঘাটগুলো কিভাবে ব্যবহার উপযোগী করা যায়, সে বিষয়ে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও জানান তিনি।
নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর এই সফরে পটুয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য এস এম শাহজাদা, পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহিদুল্লাহসহ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে তিনি সড়কপথে পায়রা সমুদ্রবন্দরের উদ্দেশে যাত্রা করেন। শুক্রবার (১৮ জুন) পায়রা সমুদ্রবন্দরের বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ পরিদর্শনসহ পটুয়াখালী জেলার বিভিন্ন লঞ্চঘাট পরিদর্শনের কথা রয়েছে প্রতিমন্ত্রীর।