শান্তির প্রতীক পায়রা। এক সময় প্রেমিক-প্রেমিকার চিঠি কিংবা যুদ্ধ ক্ষেত্রে বার্তা পাঠানো হতো কবুতরের মাধ্যমে। রাজা-বাদশাহরাও শখের বসে লালন-পালন করতেন কবুতর। প্রযুক্তির প্রসারে কবুতরের পায়ে বেধে বার্তা পাঠানোর সেই দিন আর না থাকলে কবতুরের প্রতি মানুষের ভালবাসার কোন কমতি নেই। এমনই কবুতর প্রেমীদের দেখা মিলবে বরিশালের কাশিপুর বাজারে।
বরিশাল ঢাকা-মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী কাশিপুর বাজারে সাপ্তাহে দু’দিন বসে এই কবুতরের হাট। আর এই হাটেই ভীড় জমান কবুতর প্রেমীরা।কি নেই এই বাজারে! আছে গিরিবাজ, জ্যাকোবিন, ময়ূরপঙ্খীসহ নানা জাতের কবুতর।
গত বছর থেকে এই কবুতরের বাজারটি শুরু হলেও অল্প দিনে জমজমাট হয়ে উঠে। এই বাজারে ১০০ থেকে শুরু করে ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকারও কবুতর পাওয়া যায়।শখের বসে অনেকে কিনে নিচ্ছেন সেসব কবুতর।
মিন্টু মিয়া নামে এক ক্রেতা বলেন,’আমি প্রায়ই এই হাটে কবুতর কিনতে আসি, খুব ভালো লাগে এই হাটে আসল কারন এখানে অনেক কবুতর প্রেমীদের সাথ দেখা হয়।
কবুতর লালন পালনের মাধ্যমে ব্যস্ত থাকায় মাদকের বিষাক্ত ছোবল থেকে নিজেদের মুক্ত রাখতে পারছেন বলে মনে করেন কবুতর প্রেমীরা। কেউ কেউ আবার এই কবুতর কেনা বেচাকে নিয়েছেন ব্যবসা হিসেবে।
কবুতর লালন -পালনে উৎসাহিত করা গেলে আর্থিক ভাবে যুব সমাজ যেমন স্বাবলম্বী হবে তেমনি নৈতিক অবক্ষয় থেকে রক্ষা পাবে বলে মনে করেন এর সাথে থাকা সংশ্লিষ্টরা।