স্থানীয় ব্যক্তিদের মাধ্যমে বাল্যবিবাহ আয়োজনের খবর পেয়ে অভিভাবকদের বুঝিয়ে বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে বরিশালের গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বিপিন চন্দ্র বিশ্বাস।
সেই সাথে মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগপর্যন্ত বিয়ে না দেওয়ার অঙ্গীকার করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী মাজিস্ট্রেট বিপিন চন্দ্র বিশ্বাসের কাছে মুছলেখা দিয়েছে মেয়ের মা।
উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের পূর্ব ডুমুরিয়া গ্রামের মোঃ মনির হাওলাদারের স্কুল পড়–য়া মেয়ে আঁখি আক্তারের (১৪) সঙ্গে একই গ্রামের হাসেম ঘরামীর ছেলে মোঃ মাসুম ঘরামী (২৬) বিয়ে আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল।
স্থানীয় ব্যক্তিদের কাছ থেকে এই বাল্যবিবাহ আয়োজনের খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক কনের বাড়িতে ছুটে যান উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী মাজিস্ট্রেট বিপিন চন্দ্র বিশ্বাস।
এ সময় তিনি অভিভাবকদের ১৮ বছরের আগে কোনো মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার কুফল ও রাষ্ট্রীয় আইনে এ ধরনের বিয়ের স্বীকৃতি নেই, এমনটি বুঝিয়ে বললে। ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত মেয়েটিকে কোথাও বিয়ে দেওয়া হবে না বলে অঙ্গীকার করে মুছলেখা দেন মেয়ের মা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপিন চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, বাল্যবিবাহ একটি সামাজিক ব্যাধি। রাষ্ট্রীয় আইনে এ ধরনের বিয়ের কোনো স্বীকৃতি নেই। স্থানীয় সবার সমন্বিত প্রচেষ্টায় বাল্যবিবাহটি বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে। বাল্যবিবাহ বন্ধে উপজেলা প্রশাসন সব সময় তৎপর।