সালমান রহমান,কূটনৈতিক প্রতিবেদক:: বাংলাদেশ হাইকমিশন, পোর্ট লুইস, মরিশাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পুরস্কার প্রাপ্তির 48তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে মান্যবর হাইকমিশনার রেজিনা আহমেদের সভাপতিত্বে গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করা হয়। উল্লেখ্য, কোভিড-19 এর কারণে মরিশাস সরকার কর্তৃক জারীকৃত প্রটোকল অনুযায়ী 10 জনের বেশি লোকের সমাগম না করার বাধ্যবাধকতা থাকায় নির্দেশনা যথাযথ প্রতিপালন সাপেক্ষে এ গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
আলোচনার শুরুতে মান্যবর হাইকমিশনার উপস্থিত সকলকে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পুরস্কার প্রাপ্তি উপর বাংলাদেশ টেলিভিশন কর্তৃক নির্মিত বিশেষ প্রামান্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। প্রামান্য চিত্র বাংলা ভাষায় নির্মিত হওয়ায় আমন্ত্রিত বিদেশী অতিথিদেরকে হাইকমিশনার ইংরেজিতে অনুবাদের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করেন।
আলোচ্য বিষয়ে আমন্ত্রিত অতিথি বিশিষ্ট ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক জনাব রহিম মর্তুজা বলেন যে, বাংলাদেশ সারা বিশ্বের শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে। যার শুরুটা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
মরিশাসের গ্রিনউেইচ ইউনিভার্সিটির লেকচারার জনাব মাথিয়াস আনইউ ওকোরি বলেন, বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদের শুরুটা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সারা বিশ্বের সকল বাংলাদেশী তাঁকে নিয়ে গর্ববোধ করেন। তাঁর মেধা ও প্রজ্ঞা দিয়ে তিনি ছোট বেলা থেকেই এই আন্দোলনের সূত্রপাত করেছিলেন। আজকের এই প্রজন্ম তাঁর আদর্শবাদকে পুঁজি করে সমন্বিত এবং বুদ্ধিদীপ্ত জাতিতে পরিণত হতে পারে। বঙ্গবন্ধু তাঁর জীবদ্দশায় যেভাবে সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে সফল হয়েছেন, সেভাবে কোভিডের বিরুদ্ধে মোকাবিলা করে আমাদেরকে সফল হতে হবে।
গায়াসিং আশ্রম, মরিশাসের পরিচালক জনাব রাজনারায়ণ গাট্রা বলেন যে, ভারত, পাকিস্থান ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ হলেও বঙ্গবন্ধু তাঁর জীবনের শুরু থেকে ভাষা, সংস্কৃতি ও মানুষের অধিকার নিয়ে আন্দোলন করেছেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ক্ষমতা চাননি, অর্থ চাননি, তিনি চেয়েছেন মানুষের অধিকার আদায় করতে। বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় তাঁর অবদানের জন্য সর্ব প্রথম কোন বাঙ্গালী আন্তর্জাতিক পুরস্কার হিসেবে এ পদক গ্রহণ করেন।
মান্যবর হাইকমিশনার তাঁর বক্তব্যে বলেন যে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর প্রায় সাড়ে চার বছরের শাসনামলে তিনি দেশ গঠন এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে জোড়ালো ভূমিকা রাখেন। সম্ভবত বিশ্বের খুব অল্প সংখ্যক নেতাই এত অল্প সময়ের মধ্যে জুলিও কুরি পদকসহ আন্তর্জাতিক সম্মাননা পেয়েছেন। যার জন্য বাঙ্গালী জাতি হিসেবে আমরা গর্বিত। আলোচনা শেষে, মান্যবর হাইকমিশনার সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।