রোববার গভীর রাতে উত্তর বাড্ডা এলাকার বেসিক বিজ মার্কেটিং নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় সোমবার র্যাবের এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. ইসমাইল হোসেন সুমন (৩২), আবুল বাশার রুবেল (২৮), আরমান পিয়াস (৩১), রায়হান আলম সিদ্দিকি (২৮), মো. জোবায়ের (১৮), মেহেদী হাসান রাহাত (২৪), মেহেদী হাসান (১৯), রাকিবুল হাসান (২৩), মো. রাকিবুল ইসলাম (২২), মো. সোলাইমান ইসলাম (২১), মো. জাকারিয়া (১৮) এবং আরাফাত হোসেন (২২)।
তাদের কাছ থেকে ২৯টি ডেস্কটপ কম্পিউটার, ৩টি ল্যাপটপ, ১৫টি মোবাইল ফোন, ১০টি ট্যাব এবং বিভিন্ন নথিপত্র জব্দ করা হয় বলে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন সংবাদ সম্মেলনে জানান।
তিনি বলেন, “ইসমাইল হোসেন সুমন ওরফে কয়েন সুমন এই চক্রের হোতা। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে মাস্টার্স করেছেন। ২০১৩ সালে ছোট্ট একটি দোকানে বাচ্চাদের খেলনা ও কাপড়ের ব্যবসা শুরু করেন।
“পরে সেখান থেকেই তিনি শুরু করেন বিট কয়েনের ব্যবসা। গড়ে তোলেন বেসিক বিজ মাকেটিং নামের অনলাইন আউটসোর্সিং কোম্পানি। আর এর আড়ালে অবৈধ বিটকয়েন লেনদেন এবং অনলাইনে বিভিন্নভাবে প্রতারণার ফাঁদ তৈরি করে দীর্ঘদিন যাবত ব্যবসা করে আসছিলেন সুমন।”
এভাবে সুমন বিপুল অর্থ সম্পদের মালিক হয়েছেন মন্তব্য করে কমান্ডার মঈন বলেন, ঢাকায় তার দুটি ফ্লাট, প্লট, সুপার শপের ব্যবসা আছে।
“গত এক বছরে সুমন বিট কয়েনের মাধ্যমে অবৈধভাবে ১২ থেকে ১৫ লাখ ডলার লেনদেন করেছে।”
সুমনের বিরুদ্ধে ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতিতেও জড়িত থাকার অভিযোগের কথা জানিয়ে এই র্যাব কর্মকর্তা বলেন, “বিভিন্ন দেশি-বিদেশি ই-মার্কেটিং সাইটে আকর্ষণীয় মূল্যে বিজ্ঞাপন দিতেন। পরে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করতেন। কেউ যদি তার পণ্য ক্রয় কিনতে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতেন, তা তিনি হ্যাক করতেন ও টাকা আত্মসাৎ করতেন।”
খন্দকার মঈন বলেন, বাংলাদেশে বিট কয়েন নিষিদ্ধ, তবে কিছু দেশে বিট কয়েনে লেনদেনের সুযোগ আছে।
“এসব দেশের সাথে লেনদেন রয়েছে এমন দেশীয় বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসায়ী এবং আন্তর্জাতিক জুয়ারিদের কাছে বিট কয়েন লেনদেন ও বিক্রি করতেন সুমন।”
গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে র্যাবের সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।