এ জয় বাংলার-সম্প্রীতির : মমতা

লেখক:
প্রকাশ: ৪ years ago

পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের পর তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেছেন, নির্বাচনে বাংলার জয় হয়েছে। বাংলার মা-বোনদের জয় হয়েছে। সম্প্রীতি, সংহতির জয় হয়েছে।

রোববার (২ মে) সন্ধ্যায় কালীঘাটে নিজের দফতরের সামনে উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন তিনি। এর আগে আট দফায় বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণের পর রোববার সকাল থেকে ফল ঘোষণা হচ্ছিল।

মমতা নেতাকর্মীদের বলেন, ‘সবাইকে অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সবাই ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন। কোভিড-১৯ সুরক্ষাবিধি মেনে চলুন। বিজয় মিছিল এখন করবেন না। প্রথম কাজ কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াই করা।’

অন্যদিকে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তৃণমূল প্রধান বলেন, ‘আমার একটা টার্গেট ছিল ২২১ আসনে জিতবো। আমি বলেছিলাম ডাবল সেঞ্চুরি করব। বাংলার জয় হয়েছে। বাংলার মা-বোনেদের জয় হয়েছে। সম্প্রীতি, সংহতির জয় হয়েছে। সারা ভারতবর্ষকে বাঁচিয়েছে এ ফলাফল।’

মমতা আরও বলেন, ‘সত্যিই খেলা হয়েছে, আমরা জিতেছি। কোভিড কমে গেলে ব্রিগেডে বড় করে বিজয় মিছিল হবে।’

কোভিড টিকার জন্য আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়ে মমতা বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের (বিজেপির নেতৃত্বাধীন) কাছে বিনামূল্যে টিকা চাইব। না দিলে আন্দোলনে নামব।’

২৯৪ আসন বিশিষ্ট পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় সরকার গঠনের জন্য কোনো দল বা জোটের প্রয়োজন হয় ১৪৮ আসনের। এবার দুটি আসন বাদে ২৯২টি আসনে ভোট হয়েছে। গত ২৭ মার্চ থেকে শুরু হয়ে আট দফায় ভোটগ্রহণ শেষ হয় ২৯ এপ্রিল।

কলকাতার সংবাদমাধ্যমের সবশেষ খবর অনুসারে, এই ২৯২ আসনের মধ্যে মমতার দল তৃণমূল জিতেছে বা জিততে চলেছে ২১৪ আসনে। আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপি জিতেছে বা জিততে চলেছে ৭৬ আসনে। এছাড়া কংগ্রেসসহ একাধিক দলের গঠিত সংযুক্ত মোর্চা জিতছে একটিমাত্র আসনে।

দলগতভাবে এমন সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও অবশ্য মমতা তার নিজের আসন নন্দীগ্রামে হেরেছেন। সেখানে ফল প্রকাশে নানান নাটকীয়তার পর বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে বিজেপির প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীকে।

অবশ্য হ্যাটট্রিক জয়ের মধ্য দিয়ে সরকার গঠনের পথে থাকা মমতাকে অভিনন্দন-শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিজেপি নেতা ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, আম আদমি পার্টির নেতা ও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, সমাজবাদী পার্টির নেতা ও উত্তর প্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব, কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ প্রমুখ।